| |
               

মূল পাতা সারাদেশ মহানগর এক দফার দাবি শেখ হাসিনার বিদায়ের ডাক এসেছে : আমীর খসরু


এক দফার দাবি শেখ হাসিনার বিদায়ের ডাক এসেছে : আমীর খসরু


রহমত নিউজ ডেস্ক     20 July, 2023     08:07 AM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রামের লাখ লাখ জনতা এ পদযাত্রায় যোগ দিয়ে শেখ হাসিনার পতনের ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দিয়ে পতন করতে হবে। বিএনপি এখানে দাঁড়িয়েছে কারণ আমরা সুশৃঙ্খল ছিলাম। এজন্য শেখ হাসিনা বিপদে আছে। উশৃঙ্খল আন্দোলন দিয়ে দাবি আদায় করা যায় না। এক দফার দাবি শেখ হাসিনার বিদায়ের ডাক এসেছে।

বুধবার (১৯ জুলাই) বিকেলে নগরের কাজির দেউরি নুর আহম্মেদ সড়কে সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পদযাত্রা কাজীর দেউরী নুর আহম্মেদ সড়ক থেকে শুরু করে লাভলেইন, জুবলি রোড, তিনপুলের মাথা, নিউমার্কেট, স্টেশন রোড়, বিআরটিসি, কদমতলী হয়ে দেওয়ান হাট মোড়ে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় পদযাত্রা পূর্ববর্তী সমাবেশে বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বিএনপির উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।

আমীর খসরু বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করতেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ও ডিসির পোস্টিং দিচ্ছে। কেন হচ্ছে? আবার ভোট চুরি করতে। জনগণের ভোটের অধিকার হনন করতে। যাদের পোস্টিং করা হচ্ছে, তারা তাদের দলীয় মানুষ। ভুলে যান। বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের আর ভোট চুরি করতে দেবে না। আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা, তার দল ও দলের ভোট সহযোগীদের হৃদয়ে কম্পন শুরু হয়েছে। এমন কম্পন শুরু হয়েছে যে তারা আওয়ামী পুলিশ সন্ত্রাসী, তাদের দলীয় সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের মিছিল মিটিংয়ে হামলা চালাচ্ছে। লক্ষ্মীপুরে আমাদের এক ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে। কিশোরগঞ্জে আক্রমণ করেছে। অনেক নেতাকর্মী হতাহত হয়েছে। ফেনীতে আক্রমণ হয়েছে। খাগড়াছড়িতে আক্রমণ করেছে। কোনো লাভ হয়েছে? খাগড়াছড়িতে তারা পালিয়েছে। গতকাল মিরপুরে পদযাত্রায় আমি ছিলাম। সেখানে আক্রমণ করেছে। কিন্তু কিছু করতে পারেনি। তারা পালিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সহিংসতা যারা করে তাদের সঙ্গে জনগণ নেই, আমাদের আন্দোলন সুশৃঙ্খল। দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। কারা সহিংস হবে? যারা সুশৃঙ্খল না। সহিংসতা যারা করে তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। আমরা সুশৃঙ্খল। তাই আমাদের সহিংস হওয়ার দরকার নেই। তাদের নির্ভরশীলতা পুলিশের ওপর, লুটেরা ব্যবসায়ীদের ওপর। আমাদের তাদের দরকার নেই। আমাদের দরকার বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণ রাস্তায় নেমেছে। জনগণ এই ফ্যাসিস্টকে ক্ষমতা থেকে নামাবে। সারা দেশের ফ্যাসিস্টবিরোধী ও গণতন্ত্রকামী মানুষ, বিশ্বের বিভিন্ন সরকার ও ব্যক্তি গণতন্ত্র রক্ষা করার এই আন্দোলনকে সমর্থন দেয়। তারা বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়, বাক স্বাধীনতা চায়, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চায় এবং বাংলাদেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা চাই। এখানে সব পরিষ্কার। বার্তা পরিষ্কার। বার্তা যদি তাদের কাছে পরিষ্কার না হয় তাহলে আরও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে তাদের পতন ঘটাতে হবে। আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। নতুবা আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন করতে হবে। দরকার হলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। নতুবা নির্বাচনের পর পরিবর্তন করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। তারা জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: