রহমত নিউজ ডেস্ক 15 July, 2023 03:30 PM
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনি কাঠামোর ওপর নির্ভর নির্বাচন চেয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের প্রধান সেলোরি রিকার্ডোর নেতৃত্বে ইইউর আরও চারজন প্রাক প্রতিনিধি দলের সদস্য এ বৈঠকে অংশে নেন। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে বৈঠকে যোগ দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খান, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগ নেত্রী শাম্মি আহমেদ, ঢাকা-১৭ আসনের নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জহির, ড. সেলিম মাহমুদ ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও এবি পার্টির সঙ্গে বৈঠক করবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছেন, আজকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা বাংলাদেশে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চান এবং আমরাও বলেছি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সম্ভব। বাংলাদেশের সংবিধান, সার্বভৌমত্ব, আইনি ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে তারা একটি নির্বাচন দেখতে চায়। তারা নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারে আশ্বস্ত হয়েছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। আমাদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে আমরা বললাম। বিএনপির সঙ্গে কী কথা হয়েছে তা নিয়ে আমরা কেন বিতর্ক করতে যাব? সেটা তাদের ব্যাপার।
তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের সংবিধান, সার্বভৌমত্ব, আইনি ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে তারা আগামী নির্বাচন দেখতে চায়। আমরা বলেছি, বাংলাদেশের সংবিধান ও বিধি বিধান অনুসারে আগামী নির্বাচন হবে। সংলাপ নিয়ে প্রতিনিধিদল কোনো কথা বলেননি। এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা সংসদ বিলুপ্তির বিষয় নিয়েও প্রতিনিধি দল কোনো কথা বলেননি। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হবে। এখানে পার্লামেন্ট বিলুপ্তির প্রশ্নই ওঠে না। সরকারের পদত্যাগের প্রশ্নই ওঠে না। তত্ত্বাবধাক সরকারের প্রশ্নই ওঠে না।