| |
               

মূল পাতা শিক্ষাঙ্গন ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর সুযোগ দিতে ইউজিসির প্রতি আহ্বান’


‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর সুযোগ দিতে ইউজিসির প্রতি আহ্বান’


রহমত নিউজ ডেস্ক     13 July, 2023     12:51 PM    


দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করার সুযোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণা করতে হবে...। শুধু গবেষণা নয়; গবেষণা, উদ্ভাবন, ইনকিউবিশন এবং তার কমার্শিয়ালাইজশন করতে হবে। পুরোটা পথ না হলে শুধু গবেষণা দিয়ে গবেষণাই হয়। কিন্তু সমাজকে এগিয়ে নিতে শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য গবেষণাকে কাজে লাগাতে হবে। শিল্পকেও এগিয়ে আসতে হবে।

বুধবার (১২ জুলাই) নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) ২৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। এনএসইউ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। অনুষ্ঠানে ৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি দেওয়া হয়। সমাবর্তন বক্তা ভারতের পরিকল্পনা কমিশনের প্রাক্তন ডেপুটি চেয়ারম্যান এবং সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক প্রগ্রেসের সম্মানিত ফেলো মি. মন্টেক এস আহলুওয়ালিয়া গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে আরোবক্তব্য দেন এনএসইউ’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান জাভেদ মুনীর আহমদ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ড. জুনায়েদ কামাল আহমদ এবং এনএসইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম। এ সময় ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মিসেস ইয়াসমিন কামাল ও শাহরিয়ার কামাল উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এনএসইউ-এর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম ইসমাইল হোসেনসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, শিক্ষক ও কর্মকর্তা ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানে এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পিএইচডি প্রোগ্রাম নেই। আমি ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কথা বলেছি। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের দেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সক্ষমতা অর্জন করেছে। কাজেই তাদের যেন সুযোগ দেওয়া হয়। এ বিষয়টি যেন তারা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করে, সেই অনুরোধ করছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সত্যিকার অর্থে বিশ্বমানের জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র হবে। বিশ্বমানের গবেষণা হবে এবং মুক্তবুদ্ধির চর্চা হবে। আমরা সেটিই চাই, শুধু জ্ঞান চর্চার জায়গা নয়, জ্ঞান সৃষ্টিরও জায়গা। সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলজি শেখাতে হবে, তার সঙ্গে একটু নান্দনিকতার দরকার আছে; শিল্প, সাহিত্য সংস্কৃতিও লাগবে। সব বয়সের মানুষের পড়াশোনার সুযোগ দিতে হবে। একদিকে বলবো জীবনব্যাপী শিক্ষা, আবার আরেক দিকে বয়সের বাধা দিয়ে রাখবো, এটি আসলে হয় না।  কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। কারিগরি শিক্ষা থেকে বেরিয়ে আসলে তাদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে হবে।’