মূল পাতা আন্তর্জাতিক উপমহাদেশ বেলুচিস্তানে পৃথক সামরিক অভিযান চলাকালে ১২ পাক সেনা নিহত
রহমত নিউজ ডেস্ক 13 July, 2023 12:59 PM
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের জোব ও সুই এলাকায় পৃথক দুটি সামরিক অভিযান চলাকালে দেশটির সেনাবাহিনীর ১২ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। চলতি বছরে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় এক দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যা সামরিক বাহিনীর সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনা এটি। এর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেলুচিস্তানের কেচ জেলায় এক দিনে ১০ সেনা নিহত হয়েছিল।
বুধবারের ওই অভিযানে ‘ব্যাপক অস্ত্রে’ সজ্জিত সাত জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী দাবি করেছে। বুধবার রাতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ইন্টার-সর্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানায়, সুই এলাকায় অভিযান চালানোর সময় জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। দুইপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলাকালে বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করতে থাকা তিন সাহসী সেনা শাহাদাৎ বরণ করেন, এ সময় দুই জঙ্গিকে জাহান্নামে পাঠানো হয়।
এর আগে একইদিন সকালে জোব ক্যান্টনমেন্টে একটি সামরিক স্থাপনায় জঙ্গি হামলায় নয় সেনা নিহত হয়। এখানে দুইপক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে পাঁচ জঙ্গিও নিহত হয়। জোবে কোয়েটাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে গেলে এক নারী নিহত ও আরো পাঁচজন আহত হন।
আইএসপিআর জানিয়েছে, হামলাকারীরা স্থাপনাটিতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু দায়িত্বে থাকা সেনারা তাদের বাধা দেয়। এতে শুরু হওয়া ব্যাপক গোলাগুলির সময় সন্ত্রাসীদের সীমান্ত দেয়ালের কাছে ছোট একটি স্থানে ঘিরে ফেলা হয়। পরে রাতে আরেক বিবৃতিতে জানায়, জোব ক্যান্টনমেন্টের অভিযান শেষ হয়েছে এবং এতে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়েছেন।
জোবের কমিশনার সায়ীদ আহমেদ উমরানি পানিস্তানের ডন সংবাদপত্রকে বলেন, “অত্যাধুনিক ভারী অস্ত্রে সজ্জিত পাঁচ জঙ্গি এ হামলায় অংশ নিয়েছে। দুপুর পর্যন্ত চলা বন্দুক লড়াইয়ে নিরাপত্তা বাহিনীরও বেশ কয়েকজন হতাহত হন।”
গোলাগুলির মধ্যে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করে জোবের ডেপুটি কমিশনার আজিমুল্লাহ কাকর বলেন, “বাসটি ডেরা ইসমাইল খান থেকে আসছিল, এটি জোব ক্যান্টনমেন্ট এলাকা পার হওয়ার সময় দুইপক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে যায়। বাসের আহত যাত্রীদের কোয়েটার সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তেহরিক জিহাদ পাকিস্তান (টিজেপি) নামের একটি জঙ্গি গোষ্ঠী জোব গ্যারিসনে হামলার দায় স্বীকার করেছে। এই একই গোষ্ঠী এর আগে কিল্লা আব্দুল্লাহ জেলার মুসলিম বাগ এলাকায় ফ্রন্টিয়ার কোরের ক্যাম্পে চালানো হামলার দায় স্বীকার করেছিল। কয়েক মাস আগে তারা কোয়েটা-সুক্কুর মহাসড়কে পুলিশের একটি ট্রাকে হামলার দায়ও স্বীকার করেছিল।