| |
               

মূল পাতা জাতীয় সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিদ্যমান আইনি কাঠামো যথেষ্ট : আইনসচিব


সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিদ্যমান আইনি কাঠামো যথেষ্ট : আইনসচিব


রহমত নিউজ ডেস্ক     13 July, 2023     10:46 AM    


আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বলেছেন, ইইউ প্রতিনিধিদল জানতে চেয়েছে, আইনি কাঠামো যেটি আছে, তা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট কি না। আমরা বলেছি যে আইনি কাঠামো যা আছে, তা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট। এ সময় আরপিওর কয়েকটি ধারার কথা তুলে ধরে সচিব বলেন, তারা সন্তুষ্ট হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য কমিশনার নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে আইন করা হয়েছে, তা উপমহাদেশে আর নেই। নির্বাচন কমিশনার বাছাই করার জন্য অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে ছিলেন হাইকোর্টের একজন বিচারপতি, মহা হিসাব নিরীক্ষক, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ও সুশীল সমাজের দুজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। প্রতিনিধিরা এ তথ্যে সন্তুষ্ট হয়েছে।

বুধবার (১২ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ে আইনসচিবের সঙ্গে দেখা করে ইইউ প্রতিনিধিদল। পরে বৈঠকের বিষয়বস্তুু সাংবাদিকদের জানান সচিব। তবে ইইউ প্রতিনিধিদল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেনি। এর আগে প্রতিনিধিদলটি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও দেখা করেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ মূল্যায়ন করতে রিকার্ডো চেলেরির নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৬ সদস্যের নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দল রোববার ভোরে ঢাকায় এসে পৌঁছায়। নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে দুইসপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ সফরে এসেছে এই ইইউ’র প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল।

নির্বাচনের সময় জুডিশিয়াল সার্ভিসের বিচারক ও কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করার প্রসঙ্গে তুলে ধরে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ার বলেন,  যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়, তখন একজন যুগ্ম জেলা জজের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তফসিলের দিন থেকে ফলাফলের গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত কমিটি দায়িত্ব পালন করে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন নিয়ে যদি কোনো ধরনের অনিয়ম বা এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে তারা (কমিটি) প্রতিবেদন তৈরি করে নির্বাচন কমিশনের কাছে দেয়। তখন সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন বিচারিক কর্মকর্তার জন্য চাহিদা দিলে সুপ্রিমকোর্টের পরামর্শ নিয়ে বিচারিক কর্মকর্তাদের নির্বাচন কমিশনে ন্যস্ত করা হয়। তখন তারা সবকিছুই করেন নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে। বিচারিক কর্মকর্তা ভোট গ্রহণের দিন এবং আগের দুই দিন ও পরের দুই দিন মিলিয়ে মোট পাঁচ দিন দায়িত্ব পালন করেন। তখন তারা সামারি ট্রায়াল করে আরপিও অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এটিও তারা (ইইউ) অ্যাপ্রিশিয়েট করেছে।