রহমত নিউজ 07 July, 2023 05:19 PM
সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত থাকা অবস্থায় একাধিক গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় উপসচিব মেহেদী হাসানকে গুরুদণ্ড দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তাকে বরখাস্ত করে অর্থাৎ সরকারি চাকরির সর্বোচ্চতম শাস্তি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের ২১ ব্যাচের এ কর্মকর্তা চাকরী সংক্রান্ত কোনো সুযোগ–সুবিধা পাবেন না।
এর আগে মেহেদী হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন করা হয়েছিল।
এ সংক্রান্ত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থানকালে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে দূতাবাসের সেইফ হোমে আশ্রিত কয়েকজন গৃহকর্মীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের তদন্তে প্রমাণিত হয়।
এরপর মেহেদী হাসানকে ওই দূতাবাস থেকে ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রত্যাহার ও একই বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ২১ মার্চ অভিযোগ বিবরণী জারির মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। ব্যক্তিগত শুনানি এবং দ্বিতীয় বার কারণ দর্শানোর নোটিস দিলেও কোনোবারেই এ উপসচিব সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। তাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাকে গুরুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) পরামর্শ চায়। পিএসসি এ দণ্ডের সঙ্গে একমত পোষণ করলে সেটা রাষ্ট্রপতির মতামতের জন্য পাঠানো হলে সেখানেও অনুমোদন পায়। এরপরই আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবা উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মেহেদীর দাখিলকৃত জবাব ও তদন্ত প্রতিবেদনসহ সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের গুরুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ চাওয়া হলে কমিশন সহমত পোষণ করে। পরে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে মেহেদী হাসানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘তদন্তে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে সেইফ হোমে আশ্রিত কতিপয় গৃহকর্মীকে অপ্রয়োজনীয় একান্ত সাক্ষাৎকারের নামে অশ্লীল প্রশ্ন ও আচরণসহ বিভিন্নভাবে হেনস্থা করা এবং যৌন নির্যাতন (ধর্ষণ) করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ’ -নিউজ২৪।