রহমত নিউজ ডেস্ক 15 June, 2023 10:56 AM
মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন-২০১২ এর অপপ্রয়োগ বন্ধের দাবি ছিল দীর্ঘ দিনের। গত ২৪ মে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে একদিকে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে বায়রার সদস্যরা সম্মানের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারছেন। দেশে বৈধপথে যে রেমিট্যান্স আসছে এসব প্রবাসীরা বায়রার মাধ্যমে বৈধপথে বিদেশ গেছেন বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার (১৪ জুন) রাতে নগরীর অফিসার্স ক্লাবে রিক্রুটিং এজেন্সি ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েটস (রাফা) আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বায়রা সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাসারসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সব সদস্যকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। রাফা সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বারাকাত ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বায়রা মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হায়দার চৌধুরী, বায়রার সহ-সভাপতি রিয়াজ-উল-ইসলাম, সাবেক বায়রা মহাসচিব রুহুল আমিন (স্বপন), রাফা’র সাধারণ সম্পাক মাওলানা ফরিদ আহমেদ, রাফা’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন প্রমূখ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক বায়রা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ বলেন, বায়রার সমস্যার শেষ নেই। একটার পর একটা সমস্যা লেগেই থাকে। মানবপাচার আইন বায়রার মূল সমস্যা ছিল। এই আইন বন্ধ হওয়ায় একদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে, অন্যদিকে বায়রার সদস্যরা সম্মানের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারছেন। আজকে সংসদে রেমিট্যান্স নিয়ে কথা হয়। এই রেমিট্যান্স প্রবাহের অন্যতম কারিগর বায়রা। আমরা সব সময় মানবপাচার আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধের পক্ষে। আমরা বৈধভাবে বিএমইটি’র মাধ্যমে বৈধপথে বিদেশে লোক পাঠায়। অথচ এই আইনের অপপ্রয়োগের ফলে আমরা হয়রানির শিকার হতাম। অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে মান সম্মান নিয়ে বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে। কারণ আমাদের সমাজে একটা অবস্থান আছে। অনেক সময় বিনা কারণে র্যাব ধরে নিয়ে গিয়ে সংবাদ সংবাদ সম্মেলন করে এতে সমাজে বেঁচে থাকার মতো উপায় থাকে না। আমরা এই আইন চায়, যারা অবৈধভাবে বিদেশে লোক পাঠায় তাদের ধরা হোক। এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু বায়রা সদস্যদের হয়রানি বন্ধ হোক।
বায়রা সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাসার বলেন, আমরা নানান ধরনের সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে। এজন্য ৬৮০ জনকে ১ লাখ করে টাকা দিয়েছি। সৌদি দূতাবাসে সমস্যা ছিল, এটিও সমাধান করেছি। এখন বছরে ৭ থেকে ৮ লাখ মানুষ সৌদি আরবে গিয়ে দেশের জন্য অবদান রাখছে। বিএমইটিতে এক সময় স্মার্ট কার্ডের চেহারা বোঝা যেত না, এটা সমাধান করেছি।