রহমত নিউজ ডেস্ক 15 June, 2023 11:22 AM
চলমান আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গভীর উদ্বেগের সাথে খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ বলেন, একদিকে দ্রব্যমূল্যের ক্রম ঊর্ধ্বগতি, অসহনীয় লোডশেডিং, গ্যাস সংকটের কারণে নাগরিক জীবন আজ দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে পরাশক্তিগুলো বাংলাদেশের ব্যাপারে তৎপর হয়ে উঠছে। এটা ভালো লক্ষণ নয়। চলমান সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগসহ প্রার্থীর উপর সরকারি দলের নির্যাতনের অভিযোগ এসেছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি ) সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এই অবস্থায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ হওয়া সম্ভব নয়। অবিলম্বে একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। কালক্ষেপন না করে এর রূপরেখা নিয়ে বিরোধীদলগুলোর সাথে সরকারকে আলোচনায় বসতে হবে। চলমান সংকট নিরসনের লক্ষ্যে বিগত ১১ ফেব্রুয়ারি’২৩ রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত গণসমাবেশে ঘোষিত খেলাফত মজলিসের ৮ দফা দাবী অবিলম্বে মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়। এ গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামীকাল ১৬ জুন সারাদেশে জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বুধবার (১৪ জুন) খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সন্ধ্যা ৭টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে এসব কথা বলা হয়।
ভারপ্রাপ্ত আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু সালেহীন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. রিফাত মালিক, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার শাহাবুদ্দিন আহমদ, মাওলানা আবদুল হক আমিনী, সহ-অর্থ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট শাইখুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক-সভাপতি ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ, আবুল হোসাইন - সাধারণ সম্পাদক ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ, প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজুল হক- সাধারণ সম্পাদক ঢাকা মহানগরী উত্তর প্রমুখ।
খেলাফত মজলিসের ৮ দফা দাবি হচ্ছে :
১. ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন নীতি বন্ধ ও বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল করা।
২. দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
৩. নির্বাচনে সবার জন্যে সমান সুযোগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৪. দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখা।
৫. গ্রেফতারকৃত আলেম উলামা ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার করা।
৬. রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের অবাধ সুযোগ নিশ্চিতকরণ।
৭. পণ্যমূল্য কমিয়ে জনদুর্ভোগ লাঘব ও দুর্নীতি নির্মূল করা।
৮. বেকার সমস্যা সমাধান ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারী চাকুরীতে নিয়োগ দান।