রহমত নিউজ ডেস্ক 14 June, 2023 05:00 PM
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, পশু কোরবানির পর দ্রুততম সময়ে পশুর বর্জ্য অপসারণে সকল সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা ও উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ প্রয়োজনীয় সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এছাড়াও নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে যাতে পশুর হাট না বসে এবং তা জনজীবনে কোন প্রকার অসুবিধার সৃষ্টি না করে তা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বুধবার (১৪ জুন) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ প্রস্তুতি, পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করতে আয়োজিত প্রস্তুতি পর্যালোচনামূলক এক আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম।
সমবায়মন্ত্রী বলেন, কোরবানির পশুর হাটে জাল টাকা সনাক্ত করতে প্রয়োজনীয় মেশিন স্থাপনে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, মোবাইল ফিনানশিয়াল মাধ্যমে লেনদেন করার জন্যও সকল ব্যবস্থা রাখা হবে। কোরবানি পশুর বর্জ্য সূর্যাস্তের আগেই সংগ্রহ করার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে সচেতনতামূলক কমিটি করা হয়েছে। যাতে কোরবানি পশুর রক্ত ও বর্জ্য যত্রতত্র না ফেলা হয়। জনগণ উদ্বুদ্ধ ও সচেতন হলে এবং সহযোগিতা করলে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ ও সংগ্রহ করা সহজ হয়। পশুর হাট যেন ডেঙ্গু ছড়ানোর উৎস না হয় সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ তিনি।