রহমত নিউজ ডেস্ক 13 June, 2023 06:31 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মানে মানে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। নইলে পালাবার পথটুকুও পাবেন না। এখন তো আবার আমেরিকা আপনাদের পালাবার পথ বন্ধ করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিচার বিভাগকে হাতে নিয়ে সব কূটকৌশল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করলো। কারণ তারা বুঝতে পারলো, নির্বাচনে গেলে জনগণ তাদেরকে ভোট দিবে না। কারণ তারা ভালো কিছু করেনি। এই ভয়ে তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় পায়।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিদ্যুতের নজিরবিহীন লোডশেডিং, বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির পদযাত্রা-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জারিফ তুহিন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জেলে আটকে রেখেছিল। এখন গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে বিদেশে নির্বাসিত করে রেখেছে। আমাদের এমন কোনো নেতা নেই যার বিরুদ্ধে একের অধিক মামলা নেই। এই সরকারে একটাই কাজ- জনগণের পকেট কাটা। এমন একটা জিনিস নেই সেখান থেকে সরকার পকেট কাটে না। মোবাইল থেকে তারা পকেট কেটে নেয়। বিদ্যুতের কার্ডে ১০০০ টাকা ঢুকালে দেখবেন ৩০০ টাকা নেই। বছরে আমাদের ৭৮ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। সরকার এখন বলে কয়লা নাই, গ্যাস নেই, কেন ভাই? টাকা তো আগে নিয়ে নিসো। টাকা কই গেলো? সব পাচার করেছে। মার্কিন ভিসানীতি কারণে আওয়ামী লীগ সরকার বেকায়দায় পড়ে গেছে। তাই তারা পাচার করা টাকার ফিরিয়ে আনছে। আবার সেই টাকায় আড়াই পার্সেন্ট ইনসেনটিভ দিতে হচ্ছে। এখন টাকা পাচারকারীদের পুরস্কার দেয়া শুরু হয়েছে। এখন চুরি করেও পুরস্কার পাওয়া যায়। সাংবাদিকরা মন খুলে কিছু বলতে পারে না, মিডিয়ার ওপর খড়গ বসে আছে। সরকারের গলাবাজি শেষ হয় না। আমরা সবাই মুক্তিযুদ্ধ করে এ দেশটাকে স্বাধীন করেছি। কিন্তু সেই দেশে এখন কথা বলার নেই অধিকার নেই, নিরাপত্তা নেই।