| |
               

মূল পাতা সারাদেশ মহানগর ‘ডেঙ্গু জ্বর মোকাবিলায় সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে’


‘ডেঙ্গু জ্বর মোকাবিলায় সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে’


রহমত নিউজ ডেস্ক     31 May, 2023     06:51 PM    


ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন-ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, শুধু কীটনাশক প্রয়োগ করে নয়, ডেঙ্গু জ্বর মোকাবিলায় সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমকে মাথায় রেখে ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আমরা সচেতনতামূলক গণ-লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আমরা ঘরে ঘরে এই লিফলেট বিতরণ করতে চাই। এর মাধ্যমে ডেঙ্গুকে আমরা সামাজিকভাবে মোকাবিলা ও প্রতিরোধ করতে চাই। কারণ শুধু কীটনাশক প্রয়োগ করে ডেঙ্গু মোকাবিলা ও এডিস মশার বিস্তার রোধ করা সম্ভব নয়।

আজ (৩১ মে) বুধবার রাজধানীর বাসাবো বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্ন সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ সড়কের নামফলক উন্মোচন, সড়ক উদ্বোধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গণ-লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পরে ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের বিশুদ্ধানন্দ-শুদ্ধানন্দ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মেয়র তাপসকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফি, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি ভদন্ত বুদ্ধপ্রিয় মহাথের, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রানা দাশগুপ্ত, কর্পোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সোয়ে মেন জো, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস। 

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকাবাসীকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ডিএসসিসির মেয়র বলেন, আপনার বাসা-বাড়ি, স্থাপনার অভ্যন্তরে যে পানি জমে, থেমে থেমে বৃষ্টির ফলে যে পানি জমে, আগে আমরা বলতাম- তিনদিনে একদিন জমা পানি ফেলে দিন। আমরা এখন বলছি, পারলে নিয়মিত প্রতিদিন, জমা পানি ফেলে দিন। কোথাও যদি আমরা পানি জমতে না দেই, তাহলে আমরা এই এডিস মশার বিস্তার রোধ করতে পারব। ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে পারব।

ডিএসসিসির মেয়র বলেন, পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সড়কগুলোকে আরো উন্নত ও প্রশস্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে, এই সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। আপনারা দেখেছেন, এটি দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতায় নিমগ্ন ছিল। এই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা নর্দমা নির্মাণ করেছি, দু’পাশে হাঁটার জন্য পথের ব্যবস্থা করেছি। এটি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ মন্দির ও উপাসনালয়। আমরা এই মন্দিরের প্রয়াত সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দের নামে আমরা এই সড়কটির নামকরণ করেছি। এই সড়কটি প্রশস্ত করার ফলে এ এলাকার মানুষ উপকার পাবে। আমরা যে নকশা করেছি তা পরিপালন করে পর্যায়ক্রমে ঢাকা-৯ আসনের মুগদা সড়কসহ মূল সড়কগুলোকে আরও উন্নত করব। এর মাধ্যমে এ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি আধুনিক সড়ক ব্যবস্থাপনাও নিশ্চিত হবে। মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে দুই সিটি কর্পোরেশনেরই কীটনাশক কমিটি রয়েছে। কমিটিতে বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। কমিটির বিশেষজ্ঞদের মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে আমরা পুরো বছরের কীটনাশক আমদানি ও মজুত করেছি। এছাড়া ২০২০ সালের পর থেকে আমাদের কীটনাশকের মান নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: ঢাকা