বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার পরিবর্তন চায় : মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার পরিবর্তন চায়, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। জনগণ যেন ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে চাই। আমরা বিগত কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করে এসেছি। এ আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছে। আমাদের দশ দফার আন্দোলনের প্রথম দফা হলো সরকারের পদত্যাগ। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবর্তন চাই, আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। মনে রাখতে হবে... তারা (সরকার) আমাদের ফাঁদে ফেলতে চাইবে। গাড়ি পুড়বে, তারা অগ্নিসংযোগ করবে, আর দায় দেবে আমাদের। 

আজ (২৯ মে) সোমবার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ডা. জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান ও আব্দুস সালাম প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল (রবিবার) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি একটি সেমিনার করেছে। সেখানে তারা বলেছে- এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতি যতটা খারাপ, তা আগে কখনও হয়নি। আর সরকার উন্নয়নের গলাবাজি করে, সবাই নাকি ভালো আছে। সবই নাকি ভালো। এখন  হঠাৎ করে বলছে আমেরিকা থেকে নাকি রেমিট্যান্স বাড়তে শুরু করেছে। এটা তো আমাদের কাছে বিস্ময়ের ব্যাপার।  যারা আমেরিকা যায়, তারা ঘর-বাড়ি সবকিছু বিক্রি করে যায়... তাই নয়? সাধারণ মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের কুয়েত ও সৌদি আরব এসব দেশে যায়। সেখান থেকে তারা রেমিট্যান্স নিয়ে আসে। এখন কী এক জাদু তৈরি হলো যে আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স আসছে! বলেন তো কী? 

জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তার মৃত্যুর সংবাদে সারাদেশ ছিল বাকরুদ্ধ। যে জিয়া মানুষের হৃদয়ে অবস্থান করছেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে কোনও লাভ নেই। তিনি দেশের কঠিন সময়ে এই জাতির সামনে ত্রাণকর্তা হিসেবে হাজির হয়েছেন। যতই মিথ্যাচার করেন না কেন তাকে কারও মন থেকে মুছে ফেলা যাবে না। যেখানে ভবিষ্যৎ নেই সেখানে তিনি আশার আলো তৈরি করেছিলেন।  যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম, সেই গণতন্ত্র আজ ১৫ যাবৎ ভূলুণ্ঠিত। সেই গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হলে জিয়াউর রহমানকে জানতে হবে। জানতে হবে কীভাবে তিনি একটি অন্ধকার জাতিকে আলোর পথ দেখিয়েছিলেন। জানতে হবে কীভাবে প্রতিটি জাতীয় সংকটে ত্রাণকর্তার ভূমিকা রেখেছেন।