রহমত নিউজ ডেস্ক 24 May, 2023 05:59 PM
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বে অপার সম্ভাবনাময় তারুণ্যের শক্তি। এজন্য তথ্য প্রযুক্তির অবারিত সকল খাতকে ব্যবহার করে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মাটি আর মানুষের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়তে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর পদাংক অনুসরণ করে এদেশের মানুষকে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করার পদক্ষেপ গ্রহন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ (২৪ মে) বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় জেলার সিংড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগীয় ‘বিপিও (বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং) সামিট বাংলাদেশ ২০২৩’ এর উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা’র সভাপতিত্বে বিপিও সম্মেলনের উদ্বোধনী সেশনে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিষ্ট ফোরামের সভাপতি নাজনীন নাহার, ‘নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন’র প্রতিষ্ঠাতা ইকবাল বাহার জাহিদ এবং ‘বাক্য’র সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন। মঙ্গলবার রাজশাহী কলেজে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং কর্মশালার মাধ্যমে এই সম্মেলন শুরু হয়। আজ সিংড়াতে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্যারিয়ার কর্মশালা শেষে বিপিও শিল্পে কর্মসংস্থান তৈরীতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের ১০টি ষ্টলের মাধ্যমে সিভি সংগ্রহ করা হয়।
প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্য প্রযুক্তি খাতের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষাকে বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। সারাদেশে তের হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। বিকেন্দ্রীয়করণের মাধ্যমে রাজধানীর বাইরে হাই-টেক পার্ক, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারসহ বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরী করা হয়েছে। ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তা তৈরী করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দুই হাজার ২০০ কলেজের ৫০ লক্ষ শিক্ষার্থীকে তথ্য প্রযুক্তি খাতে দক্ষ করে তুলতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের এক লক্ষ নয় হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত গতির অপটিক্যাল ফাইবার কেবলের ইন্টারনেট সংযুক্তির আওতায় আনা হচ্ছে। দেশের পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীকে তথ্য প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মক্ষম করে গড়ে তোলা, দক্ষতা সৃষ্টি করতে সরকার কাজ করছে। তারুণ্যের এই শক্তি পৃথিবীর অন্য কোন দেশে নেই। এই শক্তিকে ব্যবহার করে বাংলাদেশ পৌঁছে যাবে ২০৪১ সাল নাগাদ সমৃদ্ধ স্মার্ট দেশের কাংখিত গন্তব্যে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বল্পোন্নত বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তর করেছেন। এখন আমাদের গন্তব্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। মোট ২৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিংড়ার শেরকোল এলাকায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইউকিউবেশন সেন্টার, হাই-টেক পার্ক এবং টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। উন্নয়ন বঞ্চিত সন্ত্রাসের জনপদ চলনবিল এখন আর পিছিয়ে নেই। সিংড়াকে ডিজিটাল সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই সিটিকে আমরা চলনবিলের সকল জেলার শিক্ষার্থীদের আইটি হাব হিসেবে গড়ে তুলবো।