হজ্বযাত্রীদের জন্য ৮ নির্দেশনা

৪১৯ জন হজ্বযাত্রী নিয়ে চলতি হজ্ব মৌসুমের প্রথম ফ্লাইট রোববার (২১ মে) ভোরে যাত্রা শুরু করবে । এ অবস্থায় হজ্বযাত্রীদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

নির্দেশনাগুলো হলো-
১. হজ্বযাত্রীদের জেদ্দা বা মদিনাগামী ফ্লাইটের বোর্ডিং পাস ও সিকিউরিটি চেক-ইন এবং বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন হজ্বক্যাম্প আশকোনা ঢাকায় সম্পন্ন হবে। সুতরাং প্রত্যেক হজ্বযাত্রীকে অবশ্যই নির্ধারিত ফ্লাইটের কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা আগে হজ্বক্যাম্প আশকোনা ঢাকায় যাবতীয় ডকুমেন্টসসহ উপস্থিত হতে হবে।

২. ফিরতি হজ্ব ফ্লাইটের হজ্বযাত্রীকে নির্ধারিত হজ্ব ফ্লাইটের কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা আগে জেদ্দা হজ্ব টার্মিনাল অথবা মদিনা এয়ারপোর্টে উপস্থিত হতে হবে।

৩. প্রত্যেক হজ্বযাত্রী ইকোনমি ক্লাসের জন্য সর্বাধিক ২টি ৪৬ কেজি (প্রতি পিস ব্যাগেজের সর্বোচ্চ ওজন ২৫ কেজি) এবং কেবিন ব্যাগেজে ৭ কেজি মালামাল বহন করতে পারবেন। ইনফ্যান্ট বা ২ বছরের নিচের যাত্রী সর্বোচ্চ ১০ কেজি মালামাল পরিবহনের সুবিধা পাবেন।

৪. গোলাকৃতি বা গাঁইট জাতীয় ব্যাগেজ বিমানে পরিবহন করা যাবে না। এ ছাড়া পাটের দড়ি দিয়ে বাঁধা ব্যাগ, কাপড়ে মোড়ানো ব্যাগ বহনে সৌদি সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

৫. বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক হজ্বযাত্রীকে ঢাকা বা চট্টগ্রাম অথবা সিলেটে আগমনের পর টোকেন প্রদর্শন সাপেক্ষে ৫ লিটার জমজমের পানির ব্যবস্থা করবে। সৌদি কর্তৃপক্ষের নীতিমালা অনুযায়ী হজ্বযাত্রীর ব্যাগেজে পানি বহন করার ক্ষেত্রে আইনগত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

৬. হাতব্যাগে কোনো ধরনের ধারালো বস্তু, ছুরি, কাঁচি, নেইল কাটার ও গ্যাস জাতীয় বস্তু, অ্যারোসল এবং ১০০ এমএলের বেশি কোনো তরল পদার্থ বহন করা যাবে না এবং কোনো প্রকার খাদ্য সামগ্রী নেওয়া যাবে না।

৭. প্রত্যেক হজ্বযাত্রীকে বহন করা ব্যাগেজের ওপর নাম ও ঠিকানা সংবলিত স্টিকার লাগাতে হবে। যেখানে যাত্রীর নাম, জাতীয়তা, পাসপোর্ট নম্বর, এয়ারলাইন্সের নাম ও ফ্লাইট নম্বর ইংরেজিতে উল্লেখ করতে হবে।

৮. নিরাপত্তাজনিত কারণে হজ্বযাত্রীরা নিজস্ব মালামাল ছাড়া অন্য কারো মালামাল বহন করতে পারবেন না।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ্ব) পবিত্র হজ্ব অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ্বে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এবার হজ্বের খরচ বেশি হওয়ায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটা খালি রেখেই হজ্বের সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করেছে সরকার।

এবার সবচেয়ে বেশি ১৬২টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার যাত্রী নেবে বিমান বাংলাদেশ। এ ছাড়া ৫৩টি ফ্লাইটে ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স নেবে ২০ হাজার এবং ১১৩টি ফ্লাইটে ৪১ হাজার হজ্বযাত্রী পরিবহন করবে সৌদি এয়ারলাইন্স।