কাল দুপুর আড়াইটায় শাহী ঈদগাহে মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ীর জানাযা

সিলেট জামিয়া ক্বাসিমুল উলূম দরগাহে হযরত শাহজালাল রাহমাতুল্লাহি আলাইহির মুহতামিম, শায়খুল হাদিস ও প্রধান মুফতি মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ীর জানাযার নামাজ আগামীকাল দুপুর ২:৩০ মিনিটে সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। জানাযার ইমামতি করবেন, মাওলানা গাজবাড়ীর বড় সাহেবজাদা ও জামিয়া দরগাহের মুহাদ্দিস হাফিজ মাওলানা এনামুল হক জুনাঈদ। জানাযা শেষে দরগাহের কবরস্থানে দাফন করা হবে।

আজ (১৭ মে) বুধবার রাতে বিষয়টি রহমত নিউজকে নিশ্চিত করে জামিয়া দরগাহের শিক্ষাসচিব ও মুহাদ্দিস মাওলানা আতাউল হক জালালাবাদী জানান, আজ বাদ মাগরিব নিজ কর্মস্থল জামিয়া দরগাহে স্ট্রোক করলে তাৎক্ষণিক সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় হাসপাতালে মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল 78 বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ৪ মেয়েসহ ছাত্র-শিক্ষক, ভক্তবৃন্দ ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মাওলানা মুহিব্বুল হকআল-হাইআতুল উলইয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশর সদস্য, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহ সভাপতি, সিলেটের প্রাচীন শিক্ষাবোর্ড আযাদ দ্বীনী এদারার সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, খাদিমুল কুরআন পরিষদের সভাপতি, সিলেট জেলা উলামা কমিটির চেয়ারম্যান, সিলেট জেলা ফতোয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান।  মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি ১৯৬৯ সালে সুনামগঞ্জ দরগাহপুর মাদরাসায় শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবনের সূচনা করেন। এরপর ১৯৭৩ সালে জামেয়া কাসিমুল উলুম দরগার শিক্ষক হিসেবে মনোনীত হন। তখন থেকে আমৃত্যু প্রায় ৫১ বছর ধরে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।  মাওলানা মুহিব্বুল হক ১৯৪৫ সালের ৬ ডিসেম্বর সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের ফখরোচটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ইসহাক রাহ.-ও একজন বরেণ্য আলেম ছিলেন। তিনি ১৯৬৯ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসা থেকে বার্ষিক পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধাতালিকায় ১ম স্থান অধিকার করে দাওরায়ে হাদিস পাশ করেন।