রহমত নিউজ ডেস্ক 15 May, 2023 10:25 PM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাকে বলুন, আমি আপনাদের (সাংবাদিকদের) জন্য কী করতে পারি। আমি সবসময় আপনাদের সঙ্গে আছি।
আজ (১৫ মে) সোমবার বিকালে গণভবনে গত ২৫ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ত্রিদেশীয় সফরের ফলাফল সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কল্যাণ ও মহার্ঘভাতা ঘোষণা প্রসঙ্গে বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্যবৃন্দ, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নান এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিছুদিন সাংবাদিক হিসেবে কাজ করায় সাংবাদিকদের প্রতি তাঁর বিশেষ সহানুভূতি রয়েছে। সরকার সাংবাদিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং তাদের উন্নতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বেসরকারি খাতে বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল ও সংবাদপত্রের অনুমোদন দিয়েছে। সরকার ২০১৫ সালের শুরুতে, বর্ধিত মূল্যস্ফীতির হারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতি বছর সরকারি কর্মচারিদের জন্য মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করেছিল। সরকারি কর্মচারিদের জন্য সরকার এটি করতে পারে, যে সংবাদপত্র এবং টিভি চ্যানেলগুলো বেসরকারি মালিকানায় চলছে। গণমাধ্যমের মালিকরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। এ বিষয়ে সরকার কি করতে পারে, তা, তিনি জানেন না। গণমাধ্যম মালিকরা ধনী এবং তাদের আলাদা ব্যবসা রয়েছে, তারা সাংবাদিকদের বেতন বাড়ানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, যারা পত্রিকার মালিক তারা সবাই অর্থশালী ও বিত্তশালী। তাই সাংবাদিকদের ভাল-মন্দ দেখা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সংবাদপত্রের সব মালিকরা বড়লোক। তাদের ব্যবসা আছে। কিন্তু করোনার সময় প্রণোদনার সুযোগটা কিন্তু তারা নিয়েছেন। আপনাদের দাবিটা আপনাদের আদায় করতে হবে। এটা হলো কথা। আমাদের সংবাদকর্মী ও কলা-কুশলীদের সুযোগ সুবিধার জন্য বেসরকারি খাতে এতগুলা টেলিভিশন দিয়েছি। আগে মাত্র একটি টেলিভিশন ছিল। পত্রিকা যথেষ্ট দেওয়া হয়েছে। পত্রিকা মালিক হচ্ছে সব বেসরকারি ব্যবসায়ী। সেখানে যারা কাজ করেন তাদের দেখাশোনার দায়িত্ব কিন্তু তাদেরই। সরকারের বেশি কিছু করার সুযোগ আছে কি-না আমি জানি না। কিছুই বলি না, তারপরও শুনতে হয় কথা বলার স্বাধীনতা নাকি নেই। সারাদিন মাইক লাগিয়ে বক্তৃতা দিয়ে বলে, কথা নাকি বলতে পারে না। আমরা নাকি ভীষণভাবে টর্চার করি। আমরা আপনাদের সংবাদপত্রে কি করব, করলে পরে আবার এই কথা শুনতে হবে। সেখানে আপনাদের কিছু করতে হবে। আমাদের সরকার নাকি আবার কথা বলতে দেয় না। সংবাদপত্রের নাকি স্বাধীনতা নেই। আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে লেখেন, টকশো করতে করতে টক কথাও বলেন। তারপরও বলে, তাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না, এটাই হলো বাস্তবতা। পত্রিকার মালিক যারা তারা সবাই অর্থশালী, বিত্তশালী। সাংবাদিকদের যারা কাজ দেয় ও ব্যবহার করে তাদের ভালো-মন্দ দেখা পত্রিকার মালিকদের কর্তব্য। আমাদের যতটুক করার আমরা করে যাচ্ছি। করোনার সময় সবাইকে আমরা সহযোগিতা দিয়েছি। নিশ্চয়ই সেটা আপনার স্বীকার করবেন। যে সমস্ত পত্রিকার মালিক আছে এটা তাদের দায়িত্ব। আমরা কি করতে পারি বলেন, আমরা করব।