| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি দেশে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্ভব নয় : চিকিৎসক


দেশে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্ভব নয় : চিকিৎসক


রহমত নিউজ ডেস্ক     04 May, 2023     09:11 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জাহিদ হোসেন বলেছেন, দেশে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্ভব নয়। তাই বিভিন্ন শারীরিক উপসর্গ নিরসন করে খালেদা জিয়াকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। টোটাল হাইপার টেনশন কমানোর জন্য খালেদা জিয়াকে কিছু মেডিসিন দেওয়া হয়। সেই মেডিসিনগুলো উনি আগে থেকেই পাচ্ছেন। এখনও পাচ্ছেন ও পেতেই থাকবেন। কিন্তু এটাকে সার্জিক্যালি মানিপুলেট করার সুযোগ আছে। সেটা এখানে করার সুযোগ নেই। এটা ওনার মতো একজন রোগী, যার বয়স ৭৭, যার এতোগুলো অর্গানের মধ্যে অসুস্থতা রয়েছে, সেটাকে মাথায় রেখে চিকিৎসা করতে হলে মাল্টিডিসিপ্লিনারি অ্যাডভান্স সেন্টারে করতে হবে, যেখানে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার সুযোগ রয়েছে। সেখানে চিকিৎসা করলে রোগীর যে মূল সমস্যার সেবা দেওয়া যাবে। এখন শুধু উপসর্গগুলো নিরসন করে তাকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাতে খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফেরার পর তার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ অবস্থা জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, গত ২৯ এপ্রিল ম্যাডামের কিছু উপসর্গের কারণে ষষ্ঠবারের মতো এভারকেয়ার হাসপাতালে পরীক্ষা করানোর জন্য যান। সেখানে রিপোর্টগুলো থেকে মেডিকেল বোর্ড তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেয়। খালেদা জিয়ার হার্টে যেহেতু ব্লক রয়েছে, আরও ছয় মাস আগে মাত্র একটি ব্লকের চিকিৎসা করানো হয়েছিল। বাকি দুইটি ব্লক এখনও রয়ে গেছে। এছাড়া লিভারের সমস্যা সমাধান ও উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য বলা হয়েছিল। আগেও চিকিৎসকরা তাকে মাল্টিডিসিপ্লিনারি অ্যাডভান্স সেন্টারে চিকিৎসার কথা বলেছিলেন। এভার অ্যান্ড্রোসকপি করার পর একই কথা বলেছেন। সেটা হলে তার লিভার জটিলতা কমবে, হাইপার টেনশন কমবে ও শারীরিকভাবে সুস্থ বোধ করবেন। এখন আবার আগের মতো বাসায় রেখে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলবে।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত ২৯ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে। এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর আজ বিকেলে তাকে হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় নিয়ে আসা হয়।  ২০১০ সালের সেনানিবাসের বাড়ি ছাড়ার পর থেকে গুলশানে বাসভবন ফিরোজা বসবাস করছেন খালেদা জিয়া। দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত নাজিমউদ্দীন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় চিকিৎসার জন্য একাধিকবার তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর ওই বছরের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে পুনরায় ফিরোজায় থাকছেন তিনি।