পাবনা ও ঈশ্বরদীতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়

পাবনায় টানা কয়েক দিন ধরেই তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। গতকাল সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীতে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রোদে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে ফসলের মাঠ। তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে তাই বৃষ্টি কামনা করে নামাজ আদায় করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আজ (১৮ এপ্রিল) মঙ্গলবার সকালে জেলা শহরের সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে বিশেষ এ নামাজ আদায় করা হয়। স্থানীয় যুব সমাজ এ নামাজের আয়োজন করেন। ধর্মমতে, এ নামাজকে বলা হয় ‘ইসতিসকার নামাজ’। এ নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি বা পানির জন্য প্রার্থনা করা হয়।

আয়োজকেরা জানান, কালবৈশাখীর মৌসুমেও বৃষ্টির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। উল্টো টানা তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে। মাঠে রোদে পুড়ে কৃষকের ফসল নষ্ট হচ্ছে। আম-লিচুর গুটি ঝড়ে পড়ছে। শ্রমজীবী মানুষ রোদে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে তাঁরা বৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনার আয়োজন করেছিলেন। নামাজে সবাইকে অংশ নেওয়ার জন্য ফেসবুকে প্রচারণা চালানো হয়েছিল।

প্রথমে মুসল্লিদের উদ্দেশে নামাজের নিয়মকানুন বলেন তিনি। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করলেন সবাই। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে সবাই বৃষ্টির জন্য মোনাজাত করে মাওলানা হারুনুর রশীদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এখানে বৃষ্টি নেই। অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, গবাদিপশু কষ্ট পাচ্ছে। খেতখামার ও বাগানে পানির অভাব দেখা দিয়েছে। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতেই ধর্মীয় নীতি অনুযায়ী, দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টি ও পানি প্রার্থনা করা হয়েছে।

ঈশ্বরদীতে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা

এদিকে বেলা ১১টার দিকে ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে বৃষ্টি কামনা করে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজ আদায় শেষে আল্লাহর কাছে বিশেষ দোয়া করেছেন মুসল্লিরা। ঈদগাহ মাঠে খোলা আকাশের নিচে নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন শৈলপাড়া ইসহাকীয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান। নাম শেষে ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম ওলিউল্লাহ বলেন, ‘দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ পানির জন্য হাহাকার করছে। আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে বৃষ্টি বা পানির জন্য দোয়া চাইতে বলেছেন। তাই আমরা সবাই একত্র হয়ে এ নামাজ আদায় করেছি।

এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: রাজশাহী নাটোর নাটোর সদর