‘নাস্তিক ও বাতিল শক্তিকে কোন অবস্থাতেই ছাড় দেয়া হবে না’

বর্তমানে আমাদের চারপাশে যে অস্থির পরিবেশ বিরাজ করছে, এর মূলে রয়েছে মহান আল্লাহর সঙ্গে দূরত্ব ও সম্পর্কহীনতা। ফলে নানারকম বিপদে আমাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। এসব থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং আখেরাতকে সাফল্যময় করতে আমাদেরকে আল্লাহর বিধান ও ফরমানের ছায়াতলে ফিরে আসতে হবে।  সকল অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা মুফতী আমিনী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির দীক্ষা। তাই বাংলাদেশে যখনই ইসলাম ও মসুলমানদের স্বার্থবিরোধী কোনকিছু হয়, সর্বপ্রথম মুফতী আমিনী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির রুহানী সন্তানরাই প্রতিবাদ করে, ভবিষ্যতেও করে যাবে ইনশাআল্লাহ। এদেশে ইসলাম বিরোধী নাস্তিক ও বাতিল শক্তিকে কোন অবস্থাতেই ছাড় দেয়া হবে না।  দেশের মাটিকে ইসলামের জন্য উর্বর করাই আমাদের রাজনীতির লক্ষ্য। আমরা বিশ্বাস করি, এ উর্বর ভূমিতে একদিন ইসলামী শাসন কায়েম হবে। গণমানুষের আশা-আকাঙ্খা ও সমাজে শান্তি, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। নেতৃবৃন্দ দেশের আলেম-উলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সকল প্রকার ইসলামী বিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান। একই সঙ্গে পবিত্র রমযানকে সামনে রেখে আমরা সকল নিরাপরাধ রাজবন্দীদের মুক্তি এবং ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। 

আজ (৫ এপ্রিল) বুধবার বাদ আসর লালবাগস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে মুফতী ফজলুল হক আমিনী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির স্মরণে ইসলামী ঐক্যজোট আয়োজিত আলোচনা সভা, দোআ ও ইফতার মাহফিলে বক্তাগণ এসব কথা বলেন।  ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনীর সভাপতিত্বে মাহফিলে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ বাংলাদেশের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মুফতী তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা আবুল কাশেম, মুফতী আব্দুল কাইয়্যুম, মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মাওলানা আব্দুল হাই ফারুকী, মাওলানা সালমান আহমদ, মাওলানা রিয়াজত উল্লাহ, মাওলানা আনোয়ারুল হক, মুফতী আব্দুল কাইয়্যুম, মুফতী তাসলিম আহমদ, মুফতী আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া, মাওলানা আনসারুল হক ইমরান, মাওলানা কাজী আজিজুল হক, মাওলানা খোরশেদ আলম, মাওলানা নুরুজ্জামান, ইসলামী ছাত্র খেলাফতের সভাপতি মাওলানা আবুল হাশিম শাহী প্রমুখ।

মাহফিলে রাজধানী ঢাকার বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে বলা হয়, এ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে প্রায় পাঁচ হাজার ব্যবসায়ী সব হারিয়ে তারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের এই বিরাট ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করার জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।