| |
               

মূল পাতা জাতীয় ‘যতই প্রতিবন্ধকতা আসুক না কেন নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হবে’


‘যতই প্রতিবন্ধকতা আসুক না কেন নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হবে’


রহমত নিউজ ডেস্ক     29 March, 2023     03:42 PM    


শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, যতই ষড়যন্ত্র ও প্রতিবন্ধকতা আসুক না কেন নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হবে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের নাগরিক ও সুনাগরিক হবে। তারা মানবিক হবে ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে দক্ষ হবে। তারা সৃজনশীল হবে। তবে যেকোনো নতুন কিছু করতে গেলে ছোটখাট ভুল হতেই পারে। তাই সব বাধা পেরিয়ে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।

আজ (২৯ মার্চ) বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নতুন শিক্ষাক্রম ২০২২ বিষয়ে সারা দেশের প্রধান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন এবং নতুন কারিকুলাম নিয়ে উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরেরর মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান না করে শিক্ষার্থীকে কোচিংয়ে যেতে বলেন ও শিক্ষার্থীদের কোচিং করান তাদের এখন মহাভয়। এটি একবারে অমূলক নয়। আসলেই নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ের দরকার হবে না। আরেকটি পক্ষ আছে নোট ও গাইড বই নিয়ে যারা ব্যবসা করেন। সেখানে তো অনেক টাকা। তাদেরও খুব ভয় যে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হলে নোট বই ও গাইড বইয়ের দরকার হবে না। তাদের ভয়ও একবারে অমূলক নয়। তাছাড়া সমাজে আরেক ধরনের মানুষ আছে যারা পরিবর্তন চান না। আগে যা আছে সেটা নিয়ে থাকতে চান তারা।

তিনি আরো বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ের যেতে হবে না, নোট-গাইড প্রয়োজন হবে না। তাই নতুন কারিকুলাম নিয়ে ঘোর বিরোধীতায় নেমেছেন সংশ্লিষ্ট নোট-গাইড ও কোচিং ব্যবসায়ীরা। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হলে কোচিং বা নোট-গাইডের আর দরকার হবে না। ফলে এ ব্যবসাও আর চলবে না, তাই এটির বিরোধিতা করা হচ্ছে। তবে কোচিংয়ে সবকিছু খারাপ তা নয়। কোচিংয়ের মধ্যে যেটাকে আমরা কোচিং বাণিজ্য বলি, সেখানে ‘কোচিং’ কথাটিও খারাপ নয় বরং ‘বাণিজ্য’ কথাটিও খারাপ নয়। কিন্তু যারা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান না করে শিক্ষার্থীকে বাধ্য করান কোচিংয়ে যেতে ও সেখান থেকে তারা অতিরিক্ত রোজগার করেন। সেখানেই সমস্যা।