রহমত নিউজ ডেস্ক 25 March, 2023 03:30 AM
স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ, নিপীড়নের বিরুদ্ধে সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করলেও আমাদের দেশের আইন এবং প্রশাসনিক কাঠামো এখনো ব্রিটিশ আমলের আইন দ্বারা পরিচালিত। ‘স্যার’ সম্বোধন নিয়ে প্রায়শঃই জটিলতা দেখা দেয়, এতে প্রমাণ হয় ঔপনিবেশিক মানসিকতার অবস্থান থেকে আমরা মুক্ত হতে পারিনি। ঔপনিবেশিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করে ৫২ বছর আগে স্বাধীনতা লাভ করেছি। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ঔপনিবেশিক এসব সম্বোধন, হাবভাব, আচরণ অবশ্যই বদলাতে হবে।
শনিবার (২৫ মার্চ) স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জেএসডি আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ মিয়া, অ্যাডভোকেট কে এম জাবির, এ কে এম মিজান উর রশীদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আলম নিক্সন, মোশারেফ হোসেন মন্টু প্রমুখ।
আবদুর রব বলেন, ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার’ এই ত্রয়ী মূলমন্ত্রের ভিত্তিতে দেশ স্বাধীন হলেও স্বাধীনতা অর্জনের পর গণমুখী প্রশাসন ব্যবস্থা চালু না করে ঔপনিবেশিক কাঠামো, আইন ও বিধি বহাল রাখার কারণে দেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেও ঔপনিবেশিক ধ্যান-ধারণা, আচার-আচরণ আজও বহাল রয়েছে। বিদেশি শাসকের বদলে আজ দেশীয় শাসকরাও ঔপনিবেশিক কায়দায় রাষ্ট্র চালাচ্ছে। রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারা আছে- তারা রাজা আর দেশবাসী প্রজা- রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘অভ্যন্তরীণ ঔপনিবেশবাদ’। এই ধ্বংসপ্রাপ্ত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক মডেলের ভেতর জনস্বার্থপরায়ণ নীতি-নৈতিকতা বিকাশের কোনো সুযোগ নেই। ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিকল্প মডেল আমরাই হাজির করেছি ‘অংশীদারিত্বের গণতন্ত্র’ কর্মসূচি প্রণয়ণ করে। স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে উৎপাদন-উন্নয়নে সম্পৃক্ত শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রতিনিধিত্ব সাংবিধানিকভাবে নির্ধারণ করাই ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে বাস্তব পদক্ষেপ।