| |
               

মূল পাতা জাতীয় গণমাধ্যম ‘একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে রাজনীতি করার কিছু নেই’


‘একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে রাজনীতি করার কিছু নেই’


রহমত নিউজ ডেস্ক     25 March, 2023     04:41 PM    


একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে রাজনীতি করার কিছু নেই। আমাদের সম্মিলিতভাবে এ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাইতে হবে।

আজ (২৫ মার্চ) শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত ‘১৯৭১, গণহত্যা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীতে বক্তারা এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য জুলহাস আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, 'বধ্যভূমিতে একদিন' প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা কায়সার চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী, প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী। আলোচনা সভা শেষে 'বধ্যভূমিতে একদিন' প্রামাণ্যচিত্রটি প্রদর্শন করা হয়।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জমির বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ নিয়ে বড় বড় কথা বলে। কিন্তু ১৯৭১ সালে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানিরা যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে সেটিকে তারা গণহত্যা বলে স্বীকৃতি দিচ্ছে না। অথচ ওই গণহত্যায় ৩০ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে। মা-বোনদের মানহানি হয়েছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নির্যাতনকে গণহত্যা স্বীকৃতি দিয়ে বার্মা অ্যাক্ট করা হয়েছে। মিয়ানমারের গণহত্যাকে যদি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তাহলে বাংলাদেশের গণহত্যাকে কেন স্বীকৃতি দেওয়া হবে না? আমরা সেই স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছি। শুধু সরকার নয়, সবাইকে সম্মিলিতভাবে একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাইতে হবে, এটি নিয়ে রাজনীতি করার কোনো কারণ নেই। এটিকে রাজনৈতিক অঙ্গনে আনার কোনো কারণ নেই। যা ঘটেছে সেটাকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে আইন সম্মতভাবে যা করণীয় তা করা হোক।

স্বাগত বক্তব্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, অনেকে বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা আমাদের কয়েক লাখ মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি করেছে। এটা আমাদের বলা উচিত নয়। বাঙালি নারীর সম্ভ্রম পাকিস্তানিরা হানি করতে পারেনি। তারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। একাত্তরের গণহত্যার স্মৃতিচিহ্ন বহনকারী অনেক বধ্যভূমি এখনও অযত্নে, অবহেলায় পড়ে আছে। আমরা যদি নিজেরা এটিকে সংরক্ষণ না করি, ধারণ না করি, তাহলে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি কীভাবে পাবো? রাষ্ট্রীয়ভাবে এসব স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে আমাদের বেগ পেতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি কবি হাসান হাফিজ বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ অত্যন্ত সুপরিকল্পিত নীল নকশা করে বাঙালিদের হত্যা করা হয়েছিল। অনেক বধ্যভূমি ও গণহত্যার স্থান চিহ্নিত করা গেলেও, সবগুলো এখনো উন্মোচিত হয়নি। আমদের এগুলো খুঁজে বের করতে হবে। পাশাপাশি একাত্তরের গৌরবগাঁথা ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। তাদের মধ্যে একাত্তরের চেতনা সঞ্চারিত করতে হবে।