| |
               

মূল পাতা জাতীয় চালের কৃত্রিম সংকট তৈরী করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে : খাদ্যমন্ত্রী


চালের কৃত্রিম সংকট তৈরী করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে : খাদ্যমন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     21 March, 2023     06:52 PM    


খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চালের কৃত্রিম সংকট তৈরী করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দেশে চালের কোন অভাব নেই। 

আজ (২১ মার্চ) মঙ্গলবার খাদ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন রমজান মাসে চালের বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন এনডিসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম সরকার, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ অটো, মেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ পাইকারী ও খুচরা চাল চাল ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার বিভিন্নভাবে বাজারের সরবরাহ ও দাম মনিটরিং করে। শুধু রমজান মাসেই নয় এ মনিটরিং সারা বছর চলে এবং চলবে। লাইসেন্স ছাড়া কেউ এদেশে ধান চালের ব্যবসা করতে পারবে না। এটা করতে হলে তার ফুড গ্রেইন লাইসেন্স থাকতে হবে। আড়তদারদেরও এ লাইসেন্স থাকতে হবে। পনের দিন পর পর কতটুকু তিনি ক্রয় করেছেন, কতটুকু বিক্রয় করেছেন তার রিটার্ণ দাখিল করতে হবে। যখন ব্যবসায়ীদের সাথে মিটিং করা হয় তখন চালের দাম কমে, তারপর আবার বাড়ে। বাড়ার সময় ৫ টাকা বাড়লেও কমার সময় সেভাবে কমে না। ব্যবসায়ীরা এক টাকা কমিয়ে বলে চালের দাম কমেছে।

চাল ব্যবসায়ীদের এ প্রবণতা ত্যাগ করার আহবান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালে দুর্ভিক্ষ হতে পারে, বিশ্ব ব্যাংকের এমন ঘোষণার পর অনেকেই অনায্যভাবে চালের দাম বাড়িয়েছেন, মজুত করেছেন। সেটা নিয়ন্ত্রণে ওএমএস বাজারে ছাড়তে হয়েছে। সরকার আমদানি করেছিলো বলে বিতরণ করতে পেরেছে। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে, কৃষিতে আমরা অনেক উন্নতি করেছি। এক সময়ের মঙ্গা পীড়িত এলাকা এখন খাদ্যে উদ্বৃত। অনেকেই প্রশ্ন করেন উদ্বৃত হলে আমদানি করেন কেন? আমদানির পথ খোলা থাকলে অবৈধ মজুতকারীরা কারসাজী করতে পারে না।

নওগাঁ ধান-চাল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিরোধ বরণ সাহা চন্দন বলেন, ধান চালের সাথে সম্পৃক্ত নন এমন লোকেরা অবৈধ মজুত গড়ে তোলে। তাদের অতি মুনাফা লাভের আশা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে।

বাবু বাজার পাইকারি চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, চালের বাজার ডিমান্ড ও সাপ্লাই এর ওপর নির্ভর করে। আমদানি চালু থাকলে বাজার ঠিক থাকে। ধানের বাজার স্থিতিশীল রাখতে পারলে চালের বাজারও স্থিতিশীল থাকবে। 

ঢালাওভাবে চাল আমদানির বিরোধিতা করে বাংলাদেশ অটো, মেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, সরকার মিল মালিকদের কথা চিন্তা করে না। চাল আমদানির ফলে দেশের হাজার হাজার চালের মিল বন্ধ হয়েছে।