| |
               

মূল পাতা জাতীয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই : প্রধানমন্ত্রী


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই : প্রধানমন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     19 March, 2023     01:43 PM    


র‌্যাব সদস্যদের আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাব এবং এই বাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে আমি বলব, এই ক্ষেত্রে কারো মনোকষ্ট হওয়া উচিত না। আমরা জানি, কিছুদিন আগে একটি দেশ যেহেতু র‌্যাবের ওপর একটি স্যাংশন দিয়েছিল বলে অনেকেই প্রথমে ঘাবড়ে গিয়েছিল। আমি বলেছিলাম, এখানে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কারণ এটি আমাদের দেশ। আমরা রক্ত দিয়ে এর স্বাধীনতা এনেছি। কাজেই আমার দেশে যারা কাজ করে, তারা কে কী করে না করে, তা আমরা জানি। বিচারটা আমরা করব, সেই আত্মবিশ্বাস রেখেই কাজ করতে হবে। 

আজ (১৯ মার্চ) রবিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‌্যাব সদর দপ্তরে এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাবের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত দরবারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিন দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান ও র‍্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। আজ সারা বাংলাদেশে ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা করেছি। এটা সুযোগও যেমন সৃষ্টি করে আবার সাইবার ক্রাইমও বৃদ্ধি করেছে। সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধেও আমাদের যথাযথ সতর্ক থাকতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে। র‌্যাবসহ আমাদের সকল গোয়েন্দা সংস্থাকে যথাযথ ভূমিকা নিতে হবে। এটা অনেক মানুষের ক্ষতি করে ফেলে। ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি মানুষের কল্যাণের জন্য, অকল্যাণের জন্য নয়। এই কথাটা সবাইকে মনে রাখতে হবে। আমরা যেমন স্বাবলম্বী হচ্ছি, উন্নত হচ্ছি, আবার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে মাদকের প্রভাব অনেক বেড়ে যাচ্ছে। মাদকাসক্ত হচ্ছে অনেকেই। এটা ধনী শ্রেণি থেকে একেবারে নিম্ন শ্রেণি পর্যন্ত বিস্তৃত।  একটা পরিবারে কেউ মাদকাসক্ত থাকলে সেই পরিবারের কষ্টের সীমা থাকে না। এমনটাও দেখা যাচ্ছে, মাদকাসক্ত সন্তান তার বাবা-মাকে মেরে ফেলে। মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান র‌্যাব চালাচ্ছে, এটা একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। আমরা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। এই ক্ষেত্রে সবাইকে আরও সক্রিয় হতে হবে। 

তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র‌্যাবের প্রতিটি সদস্য অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। তার সাথে সাথে জঙ্গিবাদ দমন, মাদক উদ্ধার, ভেজাল বিরোধী অভিযান, সাইবার ক্রাইম, প্রাকৃতি দুযোর্গ, ঝড়, বন্যা, ভূমিধস, মানুষের সৃষ্ট দুঘর্টনা ইত্যাদি নিয়েও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে র‌্যাব।  করোনাকালীন যখন স্কুল কলেজ সীমিত আকারে চলছিল, তখন আমরা লক্ষ্য করি, কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান। এটা ভয়ংকর ব্যাপার। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে এখানে এক হলি আর্টিজেন ছাড়া আর তেমন কোনো ঘটনা ঘটতে পারেনি। এখনও কিছু কিছু ছেলেদের উসকানি দেওয়া হয়। এই ক্ষেত্রেও র‌্যাব অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভূমিকা নিয়ে যাচ্ছে।  আমাদের ওপর আরেকটা বোঝা, সেটা হচ্ছে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা। প্রতিনিয়ত সেখানে নানা ধরনের অপরাধ ঘটছে। এ ব্যাপারেও সকলের আরও নজর দিতে হবে যেন কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটতে পারে। 

তিনি আরো বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই, প্রথমে বোধ হয় সবার একটু মনটা খারাপ ছিল। এখন সেই চিন্তা আর নেই। আমি এটা বলতে পারি, যারা এই ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের বদনাম করে, বাংলাদেশের একেকটা প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তারা কেন কোন উদ্দেশ্যে করছে, সেটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। ভালো মন্দের বিচার বাংলাদেশ সরকার করতে পারে, যেহেতু আমি সরকারে আছি, আমি একটা কথা বলতে পারি, কে ভালো করল, কে মন্দ করল, সেটার বিচার তো আমরাই করতে পারি, করে যাচ্ছি। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশ করে না, কিন্তু বাংলাদেশ করে। যে কোনো অপরাধের কিন্তু বিচার হয়। কেউ যদি কোনো অপরাধ করে, অবশ্যই সেটা আমরা নিজেরাই বলব। পরের কথা শুনে কেউ মন খারাপ করবেন না। নিজের আত্মমর্যাদাবোধ নিয়ে চলতে হবে, আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে। সেটাই সবচেয়ে বড় কথা। বিরোধী কিছু শক্তি বিদেশে দেশের বদনাম করছে, আমরা জানি যে, দেশবিরোধী কিছু শক্তি আছে যারা বাংলাদেশ যত ভালো কাজই করুক না কেন, তারা কিছুই চোখে দেখে না। আরেকটা শ্রেণি আছে, তাদের অভ্যাসটাই হলো বিদেশিদের কাছে গিয়ে বাংলাদেশের বদনাম করা। বদনাম করার জন্য বদনামকারীরা সুবিধা পায়, এই বদনাম করে বোধ হয় তারা কিছু সুবিধা পায়। কিছু আর্থিক সুবিধাও পায় বা অন্যান্য সুবিধা কিছু একটা পায় তারা। আমাদের যারা খুব দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে, সফলতার সঙ্গে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে তারা বদনাম করে বেড়ায়। বাংলাদেশের কোনো উন্নতি তো তাদের চোখেই পড়ে না।