রহমত নিউজ ডেস্ক 18 March, 2023 09:25 PM
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সরকার কৃষিতে ভর্তুকি দিচ্ছে। কিন্তু সেই ভর্তুকি কৃষকের কোনো কাজে আসছে না। যারা উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত তাদের হাতে কিছু নেই। কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যের ভালো দাম পাচ্ছে না। লুটেদারদের হাতে ক্ষমতা, যারা শুধু লুটপাটে ব্যস্ত। ফলে কৃষকরা উৎপাদনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছে, নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। জনগণের টাকায় চলা সরকার কৃষকের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
শনিবার (১৮ মার্চ) বিকাল ৫টায় রংপুর সরকারি সিটি কলেজ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে বাংলাদেশ কৃষক-মজুর সংহতির দুই দিনব্যাপী ১ম কেন্দ্রীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষক-মজুর সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন ভাসানী গবেষক ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা সৌমিত্র দস্তিদার, কৃষক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন, কিষানি সংগঠক মাহমুদা খানম প্রমুখ।
জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে উন্নয়নের কথা বলছে। কিন্তু বাস্তবে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন এখন একটা ব্যয়বহুল জিনিসে পরিণত হয়েছে। সরকারের বিদ্যুৎ নীতি যেভাবে চলছে, তাতে এই বিদ্যুৎ এখন আমদানিনির্ভর হয়ে গেছে। জ্বালানি দিক থেকেও বিদ্যুৎ আমদানিনির্ভর, উৎপাদিত বিদ্যুৎও আমদানিনির্ভর। এই আমদানিনির্ভরতা এবং কতিপয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে বিদ্যুৎ সংকটের সমাধানের নামে রেন্টাল, কুইক রেন্টাল ব্যবস্থা তৈরি করেছিল সরকার, যা ২০১৪ সালে সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা সমাপ্ত না করে এখনো পর্যন্ত লাইসেন্স ক্রমাগতভাবে বাড়িয়ে উৎপাদনে না রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা এমন একটি সরকারের অধীনে আছি যে সরকার পরপর তিন দফায় ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। তারা ২০১৪ সালের পর থেকে জনগণের ভোটকে তোয়াক্কা করছে না। ভোট ছাড়া তারা জবরদস্তি কায়দায় রাষ্ট্রক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নানাভাবে জনগণের অধিকারকে খর্ব করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে। এই ক্ষমতাকে তারা বৈধ করতে বড় বড় স্লোগান দিয়ে থাকে। একদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, অন্যদিকে উন্নয়নের কথা বলে। আমরা আজকে এই সরকারের ১৪ বছরের শাসনকে পরিষ্কার করে বলতে চাই। যে উন্নয়নের কথা বলে এই উন্নয়ন কার উন্নয়ন?
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের দিকে যদি তাকাই, তাহলে দেখব সরকারের ক্ষমতা ব্যবহার করে মুষ্টিমেয় গোষ্ঠী এখন বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এই সম্পদ তারা রাষ্ট্রক্ষমতা কাজে লাগিয়ে বিদেশে পাচার করে দিচ্ছেন। কতিপয় ব্যক্তি, গোষ্ঠী সরকারের ক্ষমতাবলে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের মালিক হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে। একেকটি বড় প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে তারা আহরণ করছে। এই সরকারের আমলে দেশ থেকে ৭০-৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে।