| |
               

মূল পাতা জাতীয় এবার হজ নিবন্ধনের সময় আরো ৫ দিন বেড়েছে


এবার হজ নিবন্ধনের সময় আরো ৫ দিন বেড়েছে


রহমত নিউজ ডেস্ক     16 March, 2023     09:20 PM    


বারবার সময় বাড়িয়েও হজের নির্ধারিত কোটা‌ পূরণ হচ্ছে না। এজন্য চলতি বছর হজে যেতে নিবন্ধনের সময় চতুর্থ দফায় আরো ৫ দিন বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ আগামী ২১ মার্চ পর্যন্ত হজযাত্রী নিবন্ধন করা যাবে।

আজ (১৬ মার্চ) বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর আগে গত ৭ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে নয়দিন সময় বাড়ানোর তথ্য জানানো হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হজযাত্রীদের বিশেষ অনুরোধ শেষ বারের মতো সময় বাড়ানো হয়েছে, কোটা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। নিবন্ধন ভাউচার প্রস্তুতের পরবর্তী দুই কার্যদিবসের মধ্যে অর্থ ব্যাংকে জমা দিয়ে নিবন্ধন নিশ্চিত না করলে ওই ভাউচার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। আগামী ২১ মার্চের মধ্যে হজ কার্যক্রম পরিচালনাকারী সব ব্যাংককে অফিস সময়ের পরও প্রস্তুতকৃত ভাউচারগুলোর অর্থ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংকের শাখাসমূহ খোলা রাখার জন্য অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়।

এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার উভয় প্যাকেজেই বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ নিবন্ধনের সময় চার দফা বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাত ৮টা পর্যন্ত হজে যেতে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন করেছেন মাত্র ১ লাখ ১০ হাজার ৮২২জন। এ হিসেবে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ৩৭৬ জন হজযাত্রীর কোটা খালি রয়েছে। এরমধ্যে সরকারিতে এখনো খালি রয়েছে ৫ হাজার ৩১৭ জন। আর বেসরকারিতে  নিবন্ধনের বাকি রয়েছে ১১ হাজার ৫৯ জন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেমের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে হজে যেতে ইচ্ছুক দুই লাখ ৪৯ হাজার ২২৪ জন প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন। এদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন আট হাজার ৩৯১ জন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন দুই লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন। ২০২৩ সালে হজে যেতে ইচ্ছুক দুই লাখ ৪৯ হাজার ২২৪ জন প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন। এদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন আট হাজার ৩৯১ জন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন দুই লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন। প্রাক-নিবন্ধন করতে ৩০ হাজার টাকা (ফেরতযোগ্য) জমা দিতে হয়। আর নিবন্ধনের চূড়ান্ত সময় জমা দিতে হয় অবশিষ্ট টাকা। তবে পাহাড়সম এই খরচ না জোগাতে পেরে অনেকেই চূড়ান্ত নিবন্ধন করছেন না। বরং প্রাক-নিবন্ধনের টাকা ফেরত নেওয়ার আবেদন করছেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাক-নিবন্ধনকারীদের হজের চূড়ান্ত নিবন্ধনের শেষ তারিখ ছিল গত ২৩ ফেব্রুয়ারি। প্রথম দফায় এই মেয়াদ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কিন্তু কোটা পূরণ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ৭ মার্চ, তৃতীয় দফায় ১৬ মার্চ এবং সব শেষ ২১ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। তবে মন্ত্রণালয় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এবার আর সময় বৃদ্ধি করা হবে না।