রহমত নিউজ ডেস্ক 05 March, 2023 09:40 PM
চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিস্ফোরণের ঘটনার জন্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গতকাল সীতাকুণ্ডে এবং আজকে ঢাকায় বিস্ফোরণ হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন এই বিস্ফোরণগুলো ঘটছে কেন? সরকার যখন ব্যর্থ হয় তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে যারা এ বিষয়গুলোর দায়িত্বে রয়েছে সব কিছু সঠিকভাবে আছে কিনা। অর্থাৎ সেখানে যেন বিস্ফোরণ না ঘটে, কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। দুর্ঘটনা ঘটলে যেন মানুষের জীবননাশ না হয়, সেই ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে কিনা। সরকারি সংস্থাগুলো সেই ব্যবস্থা নিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের ব্যর্থতার কারণে এই ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি।
আজ (৫ মার্চ) রবিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব হারুন আল রশীদ খান, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, নুরে আলম ও শাহজালাল মোল্লা, বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
মির্জা ফখরুল বলেন, পঞ্চগড়েও গতকাল চরম একটা সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। দুজন নিহত হয়েছে, দোকান-পাটসহ বাড়িঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন যে, এই ধরনের একটা বিতর্কিত বিষয় নিয়ে সরকার চুপ করে থাকলো কেন? সেখানে সমাবেশ করা অনুমতিই বা দেওয়া হলো কেন বা পরবর্তীকালে যখন আক্রমণ হয়েছে তখন পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেটা দেখল কেন, সেটাকে তারা প্রতিহত করতে সক্ষম হলো না কেন? এই যে সাম্প্রদায়িক সমস্যা সৃষ্টি করা, বিভেদ সৃষ্টি করা–এটা সরকার সৃষ্টি করছে। আমরা মনে করি তারা অত্যন্ত অসৎ উদ্দেশ্যে কাজ করছে। দেশের মানুষ যখন গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু করেছে, অধিকার আদায়ের জন্য যখন সংগ্রাম শুরু করেছে, দ্রব্যমূল্য যখন জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে, মানুষ যখন এই নিয়ে সোচ্চার হচ্ছে, মিছিল করছে। রাজনৈতিক দলগুলো যখন রাস্তায় নেমে এসেছে। তখন এই ধরনের ডাইভারশন করানোর জন্য, শুধু জনমনে বিভ্রান্ত করার জন্য, অন্যখাতে প্রবাহিত করার জন্য এই ধরনের সাম্প্রদায়িকতা ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন নস্যাৎ করতে চায়। আমরা এই ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী করছি সরকারকে। তাদেরই জবাবদিহি করতে হবে এবং যারা দায়ী এই ঘটনার জন্য তাদের বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুন আল রশীদ খান বলেন, আদানি গ্রুপের সাথে সরকারের বিদ্যুৎ চুক্তির বিষয়টাকে ঘোরানোর জন্য পঞ্চগড়ে কাদিয়ানি ইস্যু তৈরি করা হয়েছে। এটা মানুষ এখন বলাবলি করছে। আপনারা দেখেছেন, কয়েকদিন আগে প্রাথমিক বৃত্তির ফলাফল নিয়ে সরকার কীভাবে বিতর্ক তৈরি করেছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু থেকে শুরু করে শিক্ষাঙ্গনে এক অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।আমরা এখানে এসেছি বিএনপির সাথে আলোচনা করতে, এই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। সরকারের পতন না হওয়া পর্য়ন্ত আমরা রাজপথে অবস্থান করে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাবো।