‘পাঠ্যপুস্তক নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে পাঠ্যপুস্তক পড়ে মন্তব্য করার আহ্বান জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, পাঠ্যপুস্তক নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাঠ্যপুস্তক নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর পেছনে কোচিং যারা করান এবং নোট বই ছাপায় তারাও যুক্ত হয়েছে। সবাই যুক্ত হয়ে সেটা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এরকম অব্যাহত বিভ্রান্তি ছড়ানো হয় এটা কখনো সমীচীন নয় এবং এভাবে যদি গুজব রটানোর মতো বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ (৩ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার দুপুরে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী প্রাঙ্গণে মোড়ক উন্মোচন মঞ্চে ৪টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী এদিন বঙ্গবন্ধুর গ্রন্থ অবলম্বনে তথ্য ক্যাডার কর্মকর্তা আফরোজা রিমা নাইচের কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতার আলোয় আমার দেখা নয়াচীন’ ও ‘কবিতার মায়ায় কারাভাষ্য’, কথাশিল্পী ইরানী বিশ্বাসের গবেষণা গ্রন্থ ‘বঙ্গবন্ধু: একজন স্বামী ও পিতা’ এবং সাংবাদিক ও সংস্কৃতি সংগঠক লায়ন মুহা. মীযানুর রহমানের প্রবন্ধ সংকলন ‘সময় এখন বাংলাদেশের শিরোনাম’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। এ সময় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ নূরুল হুদা, পরিচালক শাহাদাত হোসেন নিপু, গ্রন্থকার ও প্রকাশকরা উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, পাঠ্যপুস্তক নিয়ে একটি মহল অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। ১০/১১ বছর আগে পাঠ্যপুস্তকে কিছুটা ভুলভ্রান্তি ছিল, সেগুলো তখনই সংশোধন করা হয়েছে। এখন যে কথাগুলো বলা হচ্ছে, ১০/১১ বছর আগের কথাগুলোই বলছে। পাঠ্যপুস্তকে যদি কোনো ভুল ত্রুটি থাকেও সেগুলো সংশোধনের জন্য দুটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি প্রয়োজনে আলেম ওলামাদের সঙ্গে বসবে। বসে যদি কোনো ভুল ত্রুটি চিহ্নিত হয়, তাহলে সেগুলো সংশোধন করা হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে। আসলে কোনো ইস্যু নেই তো, এজন্য এখন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে লেগেছে। কোথায়, কোন পৃষ্ঠায় একটু বলুক না, ভুলটা কোথায় আছে? না পড়েই মতামত দেয়। সেজন্যই মির্জা ফখরুল ইসলামও সেটা নিয়ে বক্তব্য দিয়ে রাজনীতির হাতিয়ার বানানোর চেষ্টা করছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলব, পাঠ্যপুস্তকগুলো আগে পড়ার জন্য।