রহমত নিউজ ডেস্ক 20 December, 2022 07:06 PM
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ২০০২ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপির শাসনামলে দেশে হত্যা, গুম, খুন হয়েছে। তখন ৬৩ জেলায় বোমা হামলা হয়েছে। অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে ৫৫ জন মানুষ মারা হয়েছে। একজন রাষ্ট্রদূতের ওপর বোমা হামলা হয়, তিনি তখন প্রাণে বাঁচলেও অনেকেই মারা যান। সে কারণে বিএনপির মুখে মানবাধিকার একটি ভাঁওতাবাজি। এটা আমাদের কাছে হাসির খোরাক ছাড়া আর কিছু নয়। যারা সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, তারা কীভাবে মানবাধিকারের কথা বলে? ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়। এমনকি আদালতের জজ সাহেবও শান্তিতে থাকতে পারেননি।
আজ (২০ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে-বিআইআইএসএস–বিসের এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা অমানবিক কার্যক্রম চালিয়েছে—তারা এখন মানবিকতার কথা বলে। তাঁদের আগে সামাল দেওয়া দরকার। এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁরা নাকি এখন সব ঠিক করে দেবেন। এটি হাস্যকর। বিদেশি রাষ্ট্রদূতের ওপর হামলা হয় এবং ৬৩ জেলায় বোমাবাজি হয়, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা একটি শোভাযাত্রা করেন নিজের অফিসের সামনে। সেখানে গ্রেনেড হামলা হয়, ২৪ জন মারা যান এবং অনেকে পঙ্গু হয়ে যান।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ তুলে ধরে বিএনপি। বিএনপির রূপরেখায়, ‘বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়া এক সাগর রক্তের বিনিময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে রাষ্ট্র গড়িয়া তুলিয়াছিল, সেই রাষ্ট্রের মালিকানা আজ তাহাদের হাতে নাই। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার বাংলাদেশ রাষ্ট্রকাঠামোকে ভাঙ্গিয়া চুরমার করিয়া ফেলিয়াছে। এই রাষ্ট্রকে মেরামত ও পুনর্গঠন করিতে হইবে। দেশের জনগণের হাতেই দেশের মালিকানা ফিরাইয়া দেওয়ার লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জয়লাভের পর বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার হটানোর আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলসমূহের সমন্বয়ে একটি “জনকল্যাণমূলক জাতীয় ঐকমত্যের সরকার” প্রতিষ্ঠা করা হইবে।’