রহমত নিউজ ডেস্ক 26 November, 2022 09:35 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, এই সরকার দৈত্য সরকার। সিন্দাবাদের গল্পে যেমন এক বৃদ্ধের বেশ ধরে খাল পার হওয়ার জন্য সিন্দাবাদের ঘাড়ে ওঠেছিল এক দৈত্য। খাল পার হওয়ার পর সেই বৃদ্ধ আর সিন্দাবাদের ঘাড় থেকে নামে না। অনেক কষ্ট করে সেই বৃদ্ধকে ঘাড় থেকে নামিয়েছিল। এই সরকারকে ঘাড় ধরে নামাতে দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে সরকার বিএনপির সমাবেশের পাল্টা সমাবেশ করছে। তারা তাদের অবস্থান জানাতে চায়। আমি বলবো আজকে কুমিল্লার সমাবেশে যে মানুষ হয়েছে, আপনাদের সবগুলো সমাবেশ মিলিয়ে এতো মানুষ হয়নি। সরকার দুর্ভিক্ষের ভয় দেখাচ্ছে জনগণকে। সরকার কী করেছে? দেশের অর্থনীতিকে লুটপাট করে সব বিদেশে পাচার করে এখন দুর্ভিক্ষের ভয় দেখায়। সরকার যদি জনবান্ধব হতো তাহলে দুর্ভিক্ষের ভয় না দেখিয়ে দেশের মানুষের পাশে থাকতো। সরকার মানুষকে ভয় দেখায়, কারণ যা খাওয়ার খাওয়া শেষ, আর কিছু বাকি রাখেনি।
আজ (২৬ নভেম্বর) শনিবার বিকালে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, নজিরবিহীন লোডশেডিং, সারাদেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে হত্যার প্রতিবাদ ও খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আহ্বায়ক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিনের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিনের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, নজরুল ইসলাম খান, সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সরকারের সময় শেষ, আগামী দিনের বাংলাদেশ বেগম খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ, তারেক রহমানের বাংলাদেশ। আজকের এই সমাবেশে আমি আপনাদেরকে আশ্বাস দিতে পারি, আগামী দিনে আমরা ক্ষমতায় এলে কুমিল্লা বিভাগ কুমিল্লা নামেই করব। সরকার কুমিল্লাকে অপমান করছে। একটি উপজেলার নামে একটি বিভাগের নাম হতে পারে না। আমাদের আন্দোলন এই সরকারকে বিতাড়িত করার আন্দোলন। সেই আন্দেলন ডিসেম্বরের ১০ তারিখের পরে শুরু হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, এই সরকার উন্নয়নের কিছুই করতে পারেনি। উল্টো উন্নয়নের নাম করে দেশের অর্থ লুটপাটের মহোৎসবে মেতেছে। গত ১০ বছরে এই সরকার দেশের জনগণের সাড়ে ১৪ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশে ১৭টি গ্যাসকূপ খনন করেছিল। এই খন্দকার মোশাররফ হোসেন স্যারেরা করেছিলেন। আওয়ামী লীগ কী করেছে? এরা কি একটাও গ্যাসকূপ খনন করেছিল? করে নাই। উল্টো বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি করেছে যেন কমিশনের টাকা আত্মসাৎ করতে পারে। আপনারা সবাই আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সম্মেলনকে সফল করতে ঢাকায় যাবেন, পল্টনেই হবে ঢাকার সমাবেশ। সরকার যতই বাধা দিক। এই দেশকে বাঁচাতে হবে। আপনারা বিএনপির কর্মী, আপনারা দেশপ্রেমিক, দেশের মানুষকে সরকারের কালো হাত থেকে বাঁচাতে ঢাকার সমাবেশে যাবেন।