রহমত নিউজ ডেস্ক 23 November, 2022 11:13 AM
ফাজতে ইসলামের প্রতি আন্দোলনের আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আপনারা আপনাদের মত মাঠে নামেন। দেশটা আমাদের সকলেই মিলে রক্ষা করতে হবে। আমার অনেক সহকর্মী এবং হাজার রক্তের বিনিময়ে পাওয়া এই স্বাধীনতা। তাই সকলে মিলে এ দেশটাকে ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসকের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। আমরা যেমন বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছি তেমন বাংলাদেশ গরব। তাই হঠাও হাসিনা, বাঁচাও বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল আয়োজিত ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাবের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, একদিকে আপনারা ১০ তারিখের সমাবেশ করার অনুমতি দেন না। আবার পুলিশ বলে লাঠি-সোটা নিয়ে মিছিল আসতে পারবে না। আপনারা কাঠের বন্ধুক থানায় রেখে আসেন। আওয়ামী লীগ অলিতে-গলিতে রামদা ও কুড়াল নিয়ে মিছিল করে। বাধা দিতে আসলে সেগুলো রেখে আসেন। আসেন খালি হাতে যুদ্ধ করি। একদিকে আওয়ামী লীগ রামদা-কুড়াল নিয়ে আসবে, আরেকদিকে পুলিশ বন্দুক নিয়ে, আমাদের কি বাঁচার অধিকার নেই? সংবিধানে আমার বাঁচার অধিকার আছে। আমার বাঁচার জন্য আমার তো কিছু করতেই হবে।
তিনি আরো বলেন, বলেন, সরকার যতই হুমকি-ধামকি দিক না কেন, ১০ তারিখের সমাবেশ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তাদের নেই। যেকোনো মূল্যে এ সমাবেশ হবেই। সরকারের অনুমতির অপেক্ষায় জনগণ নেই, সমাবেশ বিএনপি করবেই। ১০ তারিখে কী হবে? ১০ তারিখে জানিয়ে দেবো আওয়ামী লীগ সরকারকে কীভাবে তাড়াবো। সেদিন বলে দেবো, কী কী করব। যাই করব জানিয়ে করা হবে, না জানিয়ে কোনো কিছু করা হবে না। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের অপকর্মের কথা তারা বলে না। তৎকালীন সরকারের সময় অনেক খুন হয়েছে ও গুম হয়েছে। নবাবগঞ্জের সিরাজ মাস্টারকে দেশে প্রথম খুন করা হয়েছে। স্বাধীনতার চেতনা আর ৭ নভেম্বরের চেতনা একই কথা। ৭ নভেম্বরের চেতনা মানুষের অধিকারের চেতনা, সাম্যের চেতনা ও শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা।