রহমত নিউজ ডেস্ক 14 November, 2022 08:27 AM
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক সব সূচকের ক্ষেত্রেই উন্নতি করছে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এক্ষেত্রে অবদান রাখছে। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অগ্রগতি ধরে রাখতে এবং বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার জন্য সকলের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করা উচিত। পিকেএসএফের অধিকাংশ কার্যক্রম এসডিজির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার 'পিকেএসএফ এর কাজকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
রবিবার (১৩ নভেম্বর) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন-পিকেএসএফ আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘সমতার সাথে উন্নয়নের দিকে’ স্লোগান নিয়ে ‘পিকেএসএফ দিবস-২০২২’ উদযাপন করছে। ১৯৮৯ সালের ১৩ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে পিকেএসএফ দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠে। পিকেএসএফ আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৯০ সালে যাত্রা শুরু করে। পিকেএসএফ এবারই প্রথম ‘পিকেএসএফ দিবস’ উদযাপন করছে।
পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ-ইআরডি সচিব শরিফা খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী বক্তব্যে 'পিকেএসএফ এর কার্যক্রম এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এর অবদান তুলে ধরেন পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার। পিকেএসএফ-এর সাবেক চেয়ারম্যান এম সৈয়দুজ্জামান ও মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন এবং সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বদিউর রহমান, ড. মো. আব্দুল করিম ও মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন আব্দুল্লাহ 'পিকেএসএফ এর সাথে তাদের অভিজ্ঞতা ও স্মৃতিচারণ করেন। পিকেএসএফ-এ তাদের অবদানের জন্য তাদেরকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মানিত করা হয়। পিকেএসএফ এর বর্তমান বোর্ডের সদস্যবৃন্দ এবং সারাদেশে এর অংশীদারের নির্বাহী পরিচালকগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ড. কিউকে আহমেদ বলেন, পিকেএসএফের মূল লক্ষ্য সবার জন্য মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা এবং এই প্রয়াসের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে উন্নয়নের বিকাশের ধারা যা অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং ন্যায়সঙ্গত। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি, আমরা মানুষের সক্ষমতা বিকাশের জন্যও কাজ করছি।
শরীফা খান বলেন, গত এক দশকে পিকেএসএফ তাদের কার্যক্রমে বৈচিত্র্য এনেছে। মানুষের জীবনের সবকিছু জন্ম থেকে মৃত্যু সকল ক্ষেত্রেই পিকেএসএফ কাজ করছে।
পিকেএসএফের এমডি ড. নমিতা হালদার বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে সরকার তিন দশক আগে পিকেএসএফ প্রতিষ্ঠা করে। এখন এটি ১.৭৬ কোটি সদস্যের একটি পরিবার, যাদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি সদস্য নারী। প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন, ঝুঁকি প্রশমন, দরিদ্রদের জন্য আবাসন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানীয় জল, কৃষি ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি পিকেএসএফ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।