ভয়ভীতি দেখিয়ে মানুষকে দমানোর চেষ্টা হচ্ছে : আমীর খসরু

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গণপরিবহন ছাড়াও যে জনসভা করা যায়, সেটা প্রমাণ করেছে বিএনপি। পরিবহন ছাড়া কর্মসূচিতে লাখ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছে। সবকিছু বন্ধ করে দিয়ে, খাবার বন্ধ করে দিয়েও কর্মসূচি বন্ধ করা যায়নি। এটাকে আন্দোলন নয়, বিপ্লব বলে। দেশে ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছেন, মানুষ আজ দুই বেলা খেতে পারছে না। দ্রব্যমূল্যের চাপে দিশেহারা। বিদ্যুতের অভাবে অন্ধকারে। ভয়ভীতি দেখিয়ে মানুষকে দমানোর চেষ্টা হচ্ছে।

আজ (১১ নভেম্বর) শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আবদুস সালাম মিলনায়তনে বিএনপির ‘বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তৃতা করেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সাবেক সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনি, পিরোজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

আমীর খসরু বলেন, যুবলীগের যুবসমাবেশের কারণে গণপরিবহনের তীব্র সংকটে মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। দেশের জনসাধারণের জন্য আজকে বাস আছে বলে মনে হয় না। সব পরিবহন তাদের দখলে। বিআরটিসির বাসেও যুবলীগের ব্যানার টাঙিয়ে ভাড়ায় খাটানো হচ্ছে। এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না। মনে হচ্ছে, এটা কোনো রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রাম।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের বিদায়ের পর তারেক রহমান যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, সে অনুযায়ী আন্দোলনরত সব শক্তিকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। কোনো সংশয় যেন না থাকে। জাতীয় সরকার কী কী বিষয়ে সংস্কার করবে, সেটাও স্পষ্ট করা হবে জাতির সামনে। ভোট চুরিতে যারা সহায়তা করেছেন, তাদের বিচার হবে। যারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছেন, তাদের বিচার হবে। যারা গুম-খুনে জড়িত তাদেরও বিচার হবে। যারা মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পুরেছেন, হয়রানি করেছেন, আগুনসন্ত্রাস করেছেন, সবার বিচার হবে। বাংলাদেশ আগামীতে পরিচ্ছন্ন এক রাষ্ট্র হবে।