| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি সরকার দেশকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে : খন্দকার মোশাররফ


সরকার দেশকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে : খন্দকার মোশাররফ


রহমত নিউজ     08 November, 2022     11:14 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আজকেও দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে অবৈধ ভোট ডাকাতির সরকার। তারা অর্থ পাচারের মাধ্যমে দেশকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে। আমরা যেসব বিষয় নিয়ে এতদিন বলে আসছি। আজকে আইএমএফ কিন্তু সেগুলো নিয়ে ঠিকই প্রশ্ন করছে। কেন তেলের দাম বেড়েছে? কেন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয় না? আর আজকে গায়ের জোরের প্রধানমন্ত্রী বলছেন দেশে দুর্ভিক্ষ আসবে।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব আয়োজিত ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ড্যাবের সভাপতি ডা. হারুন আল রশীদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব আব্দুস সালামের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএনপি নেতা রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, ড্যাব নেতা ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস, ডা. শহিদুল আলম, ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. আদনান হাসান মাসুদ প্রমুখ।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, দেশের টার্নিং পয়েন্ট ছিল ৭ নভেম্বর, যা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ৭২-৭৫ পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা দেশের গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল। এরপর দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছিল। তাদের নেতা আক্ষেপ করে বলেছিলেন, সবাই পায় সোনার খনি আর আমি পেলাম চোরের খনি। সেসময় দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছিল। রক্ষীবাহিনী ৩০ হাজার লোককে হত্যা করেছিল।  আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতাদের ব্যর্থতার কারণে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উত্থান হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছিল। ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনা কারা ঘটিয়েছে, এটা পরবর্তী সরকার যারা প্রতিষ্ঠা করেছে সেখানে পরিষ্কার হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে আরেকটি আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে। এরপর ২ নভেম্বর রাত থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কোন্দলের কারণে সেনাবাহিনীতে আরেকটি অভ্যুত্থান ঘটে। এ সময় জিয়াউর রহমানকে পদত্যাগে বাধ্য করে তাকে বন্দি করা হয়। অনেক ঘটনা-পাল্টা ঘটনা ঘটে। সেসময় ৩-৬ নভেম্বর পর্যন্ত সরকার ছিল না। রেডিও, টিভি বন্ধ ছিল। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হারিয়ে যাওয়ার গুঞ্জন শুরু হয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, ঠিক সেসময় ৭ নভেম্বর দেশের সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরায় প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এজন্য ৭ নভেম্বর আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দুটি বিষয় দেশের মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত; জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা ও ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লব। অর্থাৎ দুটি বিশেষ দিনে জিয়াউর রহমান জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। রাজনৈতিক নেতাদের ব্যর্থতার কারণে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তেমনি ৩-৬ নভেম্বর যখন রাজনৈতিক নেতাদের ব্যর্থতা তখনো জিয়াউর রহমান জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সিপাহী জনতা জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে সেনাপ্রধান বানিয়েছিলেন, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু আওয়ামী লীগ এই দিনকে গুরুত্ব না দিয়ে ‘মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস’ পালন করছে। আসলে তারা পরিবর্তন সহ্য করতে পারে না। আমাদের নেতা জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা সহ্য করতে পারে না।