রহমত নিউজ 01 November, 2022 09:14 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, সরকারের হাতে তিনটি নন্দঘোষ আছে। একটা নন্দ ঘোষ হচ্ছে করোনা, একটা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, আরেকটা বিশ্বমন্দা। যাই হোক না কেন, যে অবস্থায় দাঁড়াক না কেন, সরকার সমস্ত দোষ চাপাচ্ছে এই তিনটি নন্দঘোষের ঘাড়ে। আমাদের দেখা দরকার এই তিনটি নন্দঘোষের দোষ কতটুকু।
আজ (১ নভেম্বর) মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশনের অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়।
রুমিন ফারহানা বলেন, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রভাব সারাবিশ্বের উপর পড়েছে, এতে যদি চরম অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি হয়। তাহলে সরকারের হিসাবে আমাদের চাইতে কম মাথাপিছু আয়ের দেশ ভারত, নেপাল ও আফ্রিকার অনেক গরিব দেশকে বিবিসি কেন শ্রীলঙ্কা হবার তালিকায় রাখেনি। গত একযুগে যে লুটপাট হয়েছে, অনিবার্যভাবেই তা হবার কথা। এছাড়াও অবকাঠামো উন্নয়নে দুর্নীতি হয়েছে, যেখানে লুটপাট হয়, সেখানে টাকা পাচার স্বাভাবিক। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি কী অবস্থায় আছে সেটা তার (তৌফিক-ই এলাহি) চেয়ে আর বেশি ভালো কেউ জানে না। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যাচ্ছে যে—সেটা টের পাচ্ছি অক্টোবরের এই শীত শীত সময়ে শুক্রবারের মতো ছুটির দিনেও দুই থেকে তিনবার লোডশেডিং হচ্ছে ঢাকায়।
তিনি আরো বলেন, সাধারণভাবে ভাবতে গেলে মনে হবে প্রধানমন্ত্রীর এই ধরণের কথা কৌশলগতভাবে ভুল। যখন তার পক্ষ থেকে এই ধরণের বার্তা আসে তখন আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। অর্থনীতিতে আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার চেয়ে ভয়াবহ আর কিছুই নেই। এতে মানুষ খরচ করা কমিয়ে দেবে এবং অর্থনৈতিক চাকা স্থবির হয়ে পড়বে, যখন কেউ ব্যয় করে, তখন আরেক জনের উপার্জন হয়। এই পরিস্থিতির পর প্রধানমন্ত্রী বারংবার মানুষকে দুর্ভিক্ষের বিষয়ে সতর্ক করছেন। তখন আমাদের বুঝতে হবে পরিস্থিতি আসলেই খারাপ। ২০০৯ সালে এই সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে মেয়াদের পর মেয়াদ ক্ষমতায় থাকবে। এইভাবে ক্ষমতায় থাকতে গোষ্ঠিতত্ত্ব কায়েম করতে হয়। তাদের খুশি রাখতে আইন প্রণয়ন করতে হয়। তাদের সুবিধার্থে নিয়ম-কানুন করতে হয়। তাদেরকে পালতে ও পুষতে হয়।