| |
               

মূল পাতা শিক্ষাঙ্গন আজ থেকে বেফাকে অফিস করবেন মাওলানা নদভী


আজ থেকে বেফাকে অফিস করবেন মাওলানা নদভী


রহমত ডেস্ক     29 October, 2022     07:45 AM    


দেশের সর্ববৃহৎ কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের কার্যালয়ে আজ (শনিবার) থেকে প্রথম অফিস করবেন নবনিযুক্ত মহাপরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী।

আজ (২৯ অক্টোবর) শনিবার সকাল ১০টায় যাত্রাবাড়ীর ভাঙ্গাপ্রেসে বেফাকের কার্যালয়ে অফিস করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে, গত ১৬ অক্টোবর (রবিবার) তিনি বেফাকের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান।  আজ তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম অফিস করবেন।

যেভাবে বেফাকের মহাপরিচালক হলেন মাওলানা নদভী (ভিডিও)

মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী কিশোরগঞ্জের কৃতিসন্তান দেশবরেণ্য আলেমে-দীন ও সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা আতাউর রহমান খান রাহমাতুল্লাহি আলাইহির বড় ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জের জামিয়া রোডে অবস্থিত নূর মনজিলে ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৬৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

মাওলানা নদভী একাধারে একজন বিদগ্ধ আলেম, দার্শনিক বক্তা, সমাজকর্মী, শিক্ষক, খতিব এবং সাংবাদিক। দৈনিক ইনকিলাবের স্বর্ণযুগ থেকেই যুক্ত রয়েছেন এবং বর্তমানে তিনি ইনকিলাবের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। 

১৯৭৮ সালে দৈনিক আজাদে মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভীর প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। লেখার নাম ছিলো সাহিত্য সাধনা। সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভি রচিত আমার দেখা প্রাচ্য নামের একটি গ্রন্থের অনুবাদ তার প্রথম প্রকাশিত অনুবাদ গ্রন্থ এবং নিজস্ব প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থের নাম অমুসলিম মনীষীদের চোখে আমাদের প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এছাড়া আরো বেশ কিছু আলোচিত ও বিবেক জাগানিয়া গ্রন্থের জনক তিনি। মাওলানা নদভী রচিত আধুনিক বিশ্বের চল্লিশজন নওমুসলিমের আত্মকাহিনী, ইতিহাসের কান্না, হৃদয় থেকে, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেমন ছিলেন, রক্তভেজা গুজরাট, ছেঁড়া পাতা, মুজাহিদের জীবনকথা এবং আফগানিস্তানে আমি আল্লাহকে দেখেছি বইগুলোর প্রত্যেকটাই বেশ সাড়া জাগানো।

দৈনিক ইনকিলাবে কাজ করার পাশাপাশি দেশের প্রায় সব বড় বড় কওমি মাদরাসাতে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে ক্লাস নেওয়াটা মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভীর বিশেষ একটি পরিচয়। ঢাকা চট্টগ্রাম সিলেট রাজশাহীর বহু মাদরাসায় শায়খুল হাদীস হিসাবে যথাসম্ভব সবক পড়িয়ে আসছেন। তিনি অধিকাংশ দরস আরবি ভাষায় দিয়ে থাকেন বলে ছাত্ররা বেশি উপকৃত হওয়ার সুযোগ পায়। মাওলানা নদভী রাজধানীর জামিয়াতুল কিতাবি ওয়াস সুন্নাহ মোহাম্মদপুর সহ একাধিক মাদরাসার মুহতামিম ও সদরে মুহতামিম হিসেবে দীর্ঘ দিন যাবত দায়িত্বরত আছেন।

এছাড়া তিনি সাপ্তাহিক মুসলিম জাহান, মাসিক নেয়ামতসহ বিভিন্ন পত্রিকায় নিজ দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। শিক্ষকতা এবং সাংবাদিতকায় সুদীর্ঘ ৩৫ বছর যাবৎ আস্থার সাথে নিজেকে জড়িত রেখেছেন। মাওলানা নদভী ২৫ বছর যাবৎ জুমআর নামাজের খতিব হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন ঢাকার মিরপুরস্থ মদিনা নগর জামে মসজিদে।

মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভীর কর্মময় জীবন