মূল পাতা রাজনীতি আওয়ামী লীগ বিএনপি আমলের চেয়ে ১২ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে রিজার্ভ : তথ্যমন্ত্রী
রহমত ডেস্ক 27 October, 2022 06:47 AM
বিএনপি আমলের চেয়ে রিজার্ভ ১২ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিএনপি আমলের শেষে ২০০৬ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারেরও কম, যা শেখ হাসিনার আমলে ১২ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে এখন প্রায় ৩৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি বা পিপিপি ভিত্তিতে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩১তম অর্থনীতির দেশ।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা ও যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে এখন বিশ্বের প্রায় সব দেশই রিজার্ভের সঞ্চয় ভেঙে চলছে। একটি দেশে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থাকাই যথেষ্ট, সেখানে আমাদের পাঁচ মাসের রিজার্ভ রয়েছে। সুতরাং রিজার্ভ নিয়ে কথা বলার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে, অথচ বিএনপি যখন ২০০৬ সালে ক্ষমতা ছাড়ে তখন রিজার্ভ ছিল সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারের কম (৩ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার)। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন ক্ষমতা ছাড়ে তখন রিজার্ভ ছিল ৬ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটাকে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে গেছেন এবং তখন করোনার কারণে আমদানি বন্ধ ছিল। এখন করোনা একটু কমায় আমদানি বেড়েছে, যে কারণে রিজার্ভ কিছুটা কমে ৩৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, পৃথিবীর পঞ্চম অর্থনীতি ভারতে রিজার্ভের পরিমাণ গত দুই বছরের মধ্যে এখন সর্বনিম্ন। পাকিস্তান রিজার্ভ ভেঙে খাচ্ছে। মাত্র পাঁচ লাখ মানুষের দেশ ভুটানের অর্থনীতি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে বলে আমরা জানতাম, সেই ভুটান এবং এমনকি যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ রিজার্ভ ভেঙে খাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র রিজার্ভ জ্বালানি কখনও ব্যবহার করে না, সব সময় আমদানির জ্বালানি ব্যবহার করে।জ্বালানি কেনার পয়সা যথেষ্ট না থাকার কারণে যুক্তরাষ্ট্র তাদের রিজার্ভ জ্বালানি খরচ করছে। সুতরাং বিশ্ব প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশ পরিচালনা করছেন, তাতে অনেক দেশের তুলনায় আমরা ভালো আছি।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমি তুরস্ক থেকে পরশুদিন এসেছি, সেখানে ৮০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি, পাকিস্তানে ৩০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি, যুক্তরাষ্ট্রে ১০ শতাংশের বেশি, যুক্তরাজ্যে খাদ্যের ক্ষেত্রে প্রায় ২০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি, আমাদের দেশে সেই পরিস্থিতি হয়নি, কয়েক মাস আগের তুলনায় একটু বেড়েছে।