রহমত নিউজ 27 October, 2022 07:25 PM
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানকে এগিয়ে নিতে গবেষণার বিকল্প নেই। গবেষণার ধারা অব্যাহত না রাখতে পারলে দেশ পিছিয়ে যাবে। তরুণ চিকিৎসকরা গবেষণার মাধ্যমে উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিক দিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
আজ (২৭ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়-বিএসএমএমইউয়ের চতুর্থ গবেষণা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. দিল আফরোজ বেগম, বিএমআরসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী,বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন-বিএমএর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল। স্বাগত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে গবেষণার বিকল্প নেই। শুধুমাত্র ডায়াবেটিসকে প্রতিরোধ করতে পারলে বছরে এক লাখ কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব। বিএসএমএমইউয়ে গবেষণা কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে উপাচার্য অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। বিএসএমএমইউয়ে শিক্ষক, চিকিৎসকদের মাঝে গবেষণার করার জন্য আগ্রহ ও উৎসাহের দিক দিয়ে নতুন জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাদের চাহিদা পূরণে গবেষণা খাতে বছরে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন। ইতোমধ্যে গবেষণা খাতে বরাদ্দ পাঁচ গুণ বৃদ্ধি করে ৪ কোটি থেকে ২২ কোটি ৪০ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়াও গবেষণা কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য চলতি শিক্ষাবর্ষে এই প্রথম একসঙ্গে ২৪ গবেষক চিকিৎসককে পিএইচডি কোর্সে এনরোলমেন্ট করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদানকৃত সমন্বিত গবেষণা পুরস্কারের ২০ শতাংশই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক ও রেসিডেন্টরা অর্জন করেছে।