| |
               

মূল পাতা শিক্ষাঙ্গন যোগ্য ফকীহ ও আলেম তৈরির প্রতি গুরুত্বারোপ মুফতি সালমান মানসুরপুরীর


যোগ্য ফকীহ ও আলেম তৈরির প্রতি গুরুত্বারোপ মুফতি সালমান মানসুরপুরীর


রহমত নিউজ     22 October, 2022     09:50 PM    


শরীয়তের মাসয়ালা মানুষের জানার সুবিধার্থে প্রত্যেক এলাকায় যোগ্য ফকীহ ও আলেম তৈরি করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন দারুল উলুম দেওবন্দের মুহাদ্দিস, আওলাদে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুফতি সায়্যিদ সালমান মানসুরপুরী।

তিনি বলেছেন, ছাত্রদেরকে সঠিকভাবে ইলম অর্জন করতে হবে। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা ফরজ। আর দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করতে হলে আল্লাহ এক এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল এ কথা বিশ্বাস করতে হবে। সেইসাথে সকল নবী ও আসমানী কিতাব সমূহের উপর ঈমান আনতে হবে। আল্লাহ তাআলার ইবাদত, পবিত্রতা অপবিত্রতা, হালাল হারাম, নামাজ রোজার মাসআলার জ্ঞান অর্জন করতে হবে। সুতরাং যে এসব বিষয়ের জ্ঞান অর্জন না করবে, তাকে দ্বীনদার বলা যাবে না।

আজ (২২ অক্টোবর) শনিবার রাজধানীর মিরপুর বেনারশী পল্লী সংলগ্ন জামিয়া হোসাইনিয়া দারুল উলুমের ছাত্র মিলনায়তনে শায়খুল ইসলাম সায়্যিদ হোসাইন আহমদ মাদানীর রাহমাতুল্লাহি আলাইহির মুফতি সালমান মানসুরপুরীর শুভাগমন উপলক্ষে  আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। পরে জামিয়া হোসাইনিয়া দারুল উলুমের জন্য একটি স্থায়ী জায়গা এবং মাদরাসার কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন তিনি।জামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ও চেতনায়ে আকাবিরে দারুল উলুম দেওবন্দ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মুফতি নাসিরুদ্দিন কাসেমীর সভাপতিত্বে ও হাফেজ সাহবানের পবিত্র কুরআনে কারীমের তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

মুফতি সালমান মানসুরপুরী বলেন,ইলম অর্জনের দুটি স্তর রয়েছে। ফরজ ইলম। যা সবার জন্য অর্জন করা ফরজ। যেমন আকিদাগত মৌলিক বিষয় জানা। আল্লাহ, নবি রাসুলের উপর ঈমান গ্রহন করা। নামাজ, রোযা হজ যাকাত, পবিত্রতা ইত্যাদি মাসআলা জানা সবার জন্য ফরজ। এ কারণে প্রত্যেক মুসলমান ও তাদের সন্তানদের মাদরাসা, মকতবে পাঠাবেন। যেনো ফরজ ইলম অর্জন করতে পারে। দুই- ফরযে কেফায়ার ইলম। প্রতিটি সমাজে এমন কিছু লোক থাকা যারা মানুষের যাবতীয় সমস্যার সঠিক সমাধান দিবেন। এ পরকারের ইলম অর্জন করা সামষ্টিগতভাবে সবার ওপর ওয়াজিব। ব্যক্তিগতভাবে ফরযে কেফায়া। সমাজের কেউ দায়িত্বভার কাঁধে তুলে নিলে সবাইকে বেঁচে যাবে। না হয় সবাহ গুনাহগার হবে। এখনকার সময়ে দেশের ফতোয়া বিভাগগুলো সমাজের এ দায়িত্ব আদায় করে আসছে।। এ বিভাগের ছাত্রদের চেষ্টা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেদেরকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।

উল্লেখ্য, দোয়া মাহফিলের পূর্বে মাদরাসা সংলগ্ন রাস্তার দুইপাশে দাঁড়িয়ে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মুফতি সালমান মানসুরপুরীকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। নবীজীর বংশধরকে এক পলক দেখার জন্য আশপাশের এলাকার মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। এ সময় মাদরাসা শিক্ষার্থীদের নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবার ও আহলান সাহলান শ্লোগানে বেনারশী পল্লী সংলগ্ন এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।