রহমত নিউজ 14 October, 2022 03:50 PM
‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন-বিএসটিআইর উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিশ্ব মান দিবস পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বিশ্ব বাজারে দেশীয় পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি করতে হলে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার কোনো বিকল্প নেই। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) ২০৩০’র লক্ষ্যগুলোকে সম্পৃক্ত করে এবারের বিশ্ব মান দিবসের নির্ধারিত প্রতিপাদ্য ‘সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে-মান’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে। আজ (১৪ অক্টোবর) বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে পণ্যের মান প্রণয়ন ও তার প্রয়োগ নিশ্চিত করা বিএসটিআই’র মূল দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৪ সালে বিএসটিআই আন্তর্জাতিক মান সংস্থা-আইএসওর সদস্যপদ অর্জন করে। এ সদস্যপদ অর্জনের মাধ্যমে বিএসটিআই ‘আন্তর্জাতিক মান’ অনুসরণ করে বাংলাদেশে পণ্যের উৎপাদন, বিক্রয় ও বাজারজাতকরণের সকল ক্ষেত্রে মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সকল ক্ষেত্রে মানসম্মত পণ্য উৎপাদন ও সেবা প্রদান নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে শিল্পোদ্যোক্তা, বিক্রেতা ও ভোক্তা সাধারণকে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ ও বাস্তবায়নে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি দেশে উৎপাদিত ও আমদানিকৃত পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে বিএসটিআই’কে নিয়মিত নজরদারি অব্যাহত রাখতে হবে।
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সামাজিক ভারসম্যহীনতা দূরীকরণ, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা সীমিতকরণের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মান ও সামঞ্জস্য নিরূপণে বিদ্যমান উপকরণগুলো ব্যবহার করে এসব লক্ষ্য অর্জন সম্ভব। এজন্য বিএসটিআই’র সকল পর্যায়ের কর্মীদেরকে মান নিয়ন্ত্রণের কাজটি সততা, দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে করার আহবান জানান।বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।