স্বাস্থ্য ডেস্ক 13 October, 2022 06:24 PM
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেছেন, রোগীর দেহে ডেঙ্গুর একাধিক সেল টাইপ থাকলে ইনফেকশনের চান্স বেশি থাকে। একইসঙ্গে সিভিয়ার ডেঙ্গুরও আশঙ্কা থেকে যায়। কক্সবাজারে আমাদের টিম ডেঙ্গু নিয়ে কাজ করেছে। সেখানে ডেঙ্গু সেল ডেন-৩ এর সঙ্গে ডেন-১ এর উপস্থিতি দেখা গেছে।
আজ (১৩ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সারাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, ২০১৩ সাল থেকে আইইডিসিআর ডেঙ্গুর সেল পর্যবেক্ষণ করছে। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুর চারটি ধরন পাওয়া গেছে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত আমাদের সার্কুলেশনে ডেন-১ ও ডেন-২ ছিল। ২০২১ সাল থেকে দেখছি ডেন-৩ এর প্রকোপ। ২০২১ সালে এটি শতভাগ ছিল। কিন্তু ২০২২ সালে এসে দেখছি যে, ডেন-৪ এর উপস্থিতি এখন পর্যন্ত ১০ শতাংশ।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের পর ডেন-১ এর সেল উপস্থিতি আমাদের স্যাম্পল কালেকশনে পাইনি। কিন্তু এখন সেটা আমরা কক্সবাজারে পাচ্ছি, যদিও ঢাকায় পাচ্ছি না। কক্সবাজারে ডেন-১, ডেন-৩ ও ডেন-৪ এক সঙ্গে অ্যাকটিভ। বাংলাদেশ তো ছোট রাষ্ট্র। আজ ঢাকা, কাল কক্সবাজার। এভাবে মানুষের মুভমেন্ট হচ্ছে। এভাবে সব সেলের ডেঙ্গু ছড়াতেই পারে।
তিনি আরো বলেন, আমরা কীটনাশকের কোনো সার্ভে করি না। বিএডিসির চাহিদায় স্যাম্পল পাঠালে তখন আমরা দেখি। তারা কোড নম্বর পাঠালে সেভাবেই গোপনীয়তার সঙ্গে বায়োপসি টেস্টের মাধ্যমে বলে দিই। আমরা কিন্তু জানি না তারা কোন ধরনের কীটনাশক টেস্টে পাঠিয়েছে। আবার কীভাবে ব্যবহার হচ্ছে তাও জানি না।