| |
               

মূল পাতা শিক্ষাঙ্গন নিরাপদ সহাবস্থান নিশ্চিতসহ ৪ দাবিতে ঢাবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি


নিরাপদ সহাবস্থান নিশ্চিতসহ ৪ দাবিতে ঢাবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি


রহমত নিউজ     13 October, 2022     06:20 PM    


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-ঢাবির দল-মত নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর হল ও ক্যাম্পাসে নিরাপদ সহাবস্থান নিশ্চিত করাসহ চার দফা দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। স্মারকলিপিতে তারা হল ও ক্যাম্পাসে নিরাপদ সহাবস্থান নিশ্চিত করা; যে বা যারা শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষাজীবন ও মতামত প্রকাশে বাধার সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা; সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠিত হামলাগুলোর যথাযথ বিচার করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক চর্চা, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক-ক্রীড়া চর্চার জন্য নিয়মিতভাবে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।

আজ (১৩ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার দুপুরে উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে 'উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজের' পক্ষ থেকে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এসময় ছাত্র অধিকার পরিষদের গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ছাড়াও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্যের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা আলাপ শেষে উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজের পক্ষে লেখক ও শিক্ষা আন্দোলনকর্মী রাখাল রাহা সাংবাদিকদের বলেন, চার দাবিতে আমরা ঢাবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছি, তিনি গ্রহণ করেছেন। আমাদেরকে তিনি আশ্বস্ত করেছেন স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবিগুলো পূরণের চেষ্টা করবেন। আমরা বলেছি যেসব শিক্ষার্থী মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার আছে তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করা, তাদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দিতে। তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।

নুরুল হক নুর বলেন, দল মতের জায়গা থেকে না, সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা এখানে এসেছি। শিক্ষার্থীরা হামলার শিকার হয়েছে, নিপীড়নের শিকার হয়েছে, ক্যাম্পাসে ছাত্র সংগঠনগুলো হামলার শিকার হচ্ছে, এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছি আমরা। একইসঙ্গে ডাকসুর ধারাবাহিকতা যাতে রাখা হয় সে বিষয়েও আমরা কথা বলেছি।

উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, অভিভাবকদের যে দাবি এবং আমাদের যে বক্তব্য এর মধ্যে খুব বেশি অমিল নেই। গণতান্ত্রিক মানবিক সমাজ বিনির্মাণে তাদের কথাগুলো আমার কাছে ভালো লেগেছে। আমরা যেন সবাই দায়িত্বশীল আচরণ করি এবং একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখি। আমাদের সীমাবদ্ধতার জায়গাগুলোও ওনারা বুঝতে পেরেছেন। আমাদের আন্তরিক প্রয়াসে এবং সবার সহযোগিতায় আগের তুলনায় ক্যাম্পাসে এখন ভালো সহাবস্থান বিরাজ করছে। কখনো কখনো দুই একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে সেটাও যাতে এড়ানো যায় সেজন্য সবাই যেন দায়িত্বশীল আচরণ করে। ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনো কাজে কেউ জড়িত থাকলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি এবং এর বাইরে রাষ্ট্রীয় আইনেও আমাদের কোনো শিক্ষার্থী অসুবিধায় পড়লে তাদের পাশে থাকা আমাদের দায়িত্ব। সে যে দল মতের হোক না কেন আমাদের কাছে তার প্রথম পরিচয় ছাত্র এবং আমরা শিক্ষক।