| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ‘পুলিশ নেতাকর্মীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের নামে হয়রানি করছে’


‘পুলিশ নেতাকর্মীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের নামে হয়রানি করছে’


রহমত ডেস্ক     21 September, 2022     06:40 PM    


দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পুলিশ বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করার নামে হয়রানি করছে এবং দেশে বিরাজমান ভয়ের পরিস্থিতিকে আরো আতঙ্কগ্রস্থ করে তুলছে। বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ রাজনৈতিক কর্মীদের একজনের কাছ থেকে অন্যজনের তথ্য সংগ্রহেও লিপ্ত রয়েছে। বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠন সমূহের কমিটির তালিকা সংগ্রহ করছে। পুলিশী এ ধরনের কর্মকান্ড বাংলাদেশ সংবিধান, ফৌজদারী কার্যবিধি, পুলিশ আইন বা পুলিশ বিধি কিংবা অন্য কোন আইন দ্বারা কোন ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। পুলিশের এ ধরনের কার্যক্রম একদিকে যেমন নাগরিকের গোপনীয়তার অধিকার ক্ষুন্ন করছে অন্যদিকে তেমনি নাগরিকের আইনী অধিকার ভোগ করা এবং তার ব্যক্তি স্বাধীনতার উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ বলে প্রতীয়মান হয় যা সংবিধানের ৩১,৩২ এবং ৪৩ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

আজ (২১ সেপ্টেম্বর) বুধবার গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ফৌজদারী কার্যবিধির ৪২ এবং ৪৪ ধারায় একজন নাগরিক যুক্তিসঙ্গত কারনে কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করবে বলে বলা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিত ভিন্ন। ফৌজদারী কার্যবিধির আওতায় যদি কোন পুলিশ কর্মকর্তা কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার এখতিয়ার ধারণ করে বা আমলযোগ্য অপরাধের সম্পৃক্ততার যুক্তিসম্মত কারন পায় এবং সে ব্যক্তি যদি পালানোর চেষ্টা করে কিংবা তার শান্তিশৃংখলা ভঙ্গ করার কোন আশংকা থাকে বা রেলওয়ে, কেনাল, টেলিগ্রাফ অথবা সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বা ৪৪ ধারায় উল্লেখিত দন্ডবিধির কোন অপরাধ সংঘটনের তথ্য থাকে তবেই কেবল উক্ত পুলিশ কর্মকর্তা একজন নাগরিকের সহযোগীতা চাইতে পারে, অন্য কোন কারনে নয়। উক্ত ৪২ এবং ৪৪ ধারা প্রয়োগ করতে গেলেও আগে প্রমাণ করতে হবে যে, নাগরিকের কাছ থেকে কোন তথ্য বা সহযোগিতা চাইতে হলে যুক্তিসঙ্গত কারন থাকতে হবে এবং সে কারন অবশ্যই উল্লেখিত আইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে। চলমান অবস্থায় ইহা দৃশ্যত: প্রতীয়মান হয় যে, পুলিশ বিএনপিসহ ভিন্নমতালম্বীদের দমনের উদ্দেশ্যে তাদের গণহারে শুধু নাম ঠিকানায় নয়, তাদের পেশা, সন্তান সম্পত্তির বিবরণসহ চৌদ্দ গোষ্ঠীর যাবতীয় বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে যা দেশে বিরাজমান আতঙ্কের পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তুলছে। বিএনপি এই অবস্থার অবসান চায়। আমরা পুলিশ কর্তৃপক্ষকে আহŸান জানাচ্ছি, এই ভাবে সাধারণ নাগরিক, রাজনৈতিক কর্মীদের হয়রানী বন্ধ করে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য তারা তাদের সংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবেন।