| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল ‘ঢাবিতে পর্দানশীন শিক্ষার্থীদের সবধরনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে’


‘ঢাবিতে পর্দানশীন শিক্ষার্থীদের সবধরনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে’


রহমত ডেস্ক     20 September, 2022     05:14 PM    


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্দানশীন শিক্ষার্থীদের ভাইভা পরীক্ষাসহ সবধরনের হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘পর্দা করায়’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে ভাইভা পরীক্ষায় হয়রানি ও অনুপস্থিত দেখানোর ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তা বন্ধের আহ্বান জানান তিনি। আজ (২০ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ইউনুছ আহমাদ বলেন, বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে নারীরা বোরকা পরবে, এটাই স্বাভাবিক। একজন শিক্ষার্থীর স্বাধীনতা কোথায়? সে হিজাব করতে পারবে না, তার নাগরিক অধিকার কোথায়? ওই নারী শিক্ষার্থীকে যে মানসিক নির্যাতন করা হলো, তার বিচার করতে হবে। তাকে ভাইবায় উপস্থিত দেখাতে হবে। অন্যথায় বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে ধর্মীয় আবেগ-অনুভুতিতে আঘাত হানার দায়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে। তথাকথিতরা বলে থাকেন, সবার ধর্ম পালনের স্বাধীনতা আছে। কিন্তু কোথায় সেই স্বাধীনতা? দাঁড়ি-টুপি দেখলেই বলা হয় জঙ্গি। এটি কোন ধরনের স্বাধীনতা? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাতা একজন মুসলিম। মুসলমানদের স্বার্থের কথা ভেবেই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। অথচ আজ মুসলমানরাই অবজ্ঞার শিকার। বোরকাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরমাল ড্রেস ঘোষণা, বায়োমেট্রিকস পদ্ধতিতে শনাক্ত, ওই শিক্ষার্থীকে ভাইভায় উপস্থিত দেখানো এবং কেউ ধর্মীয় পোশাকের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র। এখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী পর্দা করেন। বিভিন্নভাবে তাদের হেনস্তা করা হয়। বোরকা, দাড়ি-টুপি দেখলেই তাকে জঙ্গি তকমা দেয়া হয়। এ ধরনের মানসিকতা পরিহার করতে হবে। সংবিধানে একজন নাগরিককে সকল ধরনের অধিকার দেয়া আছে। একজন নারী যদি শর্ট পোশাক পরলে এটা তার স্বাধীনতা হয়, তাহলে একজন নারী বোরকা পরলে এটা তার স্বাধীনতা কেন হবে না? বিশ্ববিদ্যালয়ে লেলিন, কালমার্কস, মাও সেতুং-এর আদর্শ চর্চার হতে পারলে ইসলামের চর্চা কেন হতে পারবে না? তার জবাব সংশ্লিষ্টদের দিতে হবে। কেউ ধর্মীয় বিধিনিষেধ মেনে চললে তার সঙ্গে কেন এমন আচরণ করা হবে? ঢাবি প্রতিষ্ঠা হয়েছে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষাকে কেন্দ্র করে।