রহমত ডেস্ক 15 September, 2022 09:20 PM
সীমান্তে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সীমান্ত পথে মাদকপাচার প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ- মিয়ানমার। মিয়ানমারের সঙ্গে এ দেশের মানুষের দীর্ঘদিনের একটা অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্কের আড়ালে মাদক চোরাকারবারিরা ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথ (আইস) পাচারের মাধ্যম বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মিয়ানমারের মধ্যে মাদকদ্রব্য ও সাইক্লোট্রফিক সাসপেন্সের অবৈধ পাচার রোধে মিয়ানমার আয়োজিত ভার্চুয়ালি পঞ্চম দ্বিপাক্ষিক ভার্চুয়াল সভায় উভয় দেশ এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। সভায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক আব্দুল ওয়াহাব ভূঁইয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, র্যাব, বাংলাদেশ ব্যাংক কাস্টমসের প্রতিনিধিসহ ২০ জন অংশ নেন। এছাড়া মিয়ানমারের পক্ষে সেন্ট্রাল কমিটি ফর ড্রাগ অ্যাবিউজ কন্ট্রোলের প্রধান পুলিশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উইন নেইংয়ের নেতৃত্বে ১৩ সদস্য অংশ নেয়। বিকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ খালেদুল করিম এ তথ্য জানান।
সভায় মিয়ানমারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার স্থল ও মেরিটাইম বাউন্ডারি ভূ-কৌশলগত কারণে মাদক চোরাকারবারিদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সভায় মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে দু'দেশের মধ্যে আরও বেশি আলোচনা আয়োজনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। দেশের অভ্যন্তরে ও সীমান্তে মাদক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি মিয়ানমারও গুরুত্ব দিয়ে থাকে। দুদেশের শান্তি স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সীমান্ত পথে মাদকপাচার ও মাদকদ্রব্য গ্রহণ প্রতিরোধে উভয়দেশ একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। এছাড়া সীমান্ত দিয়ে মাদকপাচার ও মাদকদ্রব্য বহন প্রতিরোধে উভয় দেশের সার্বিক সহযোগিতার বিষয়েও একমত পোষণ করা হয়। এর আগে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ৪টি দ্বিপাক্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও মিয়ানমারের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক বাংলাদেশ আয়োজন করেছিল। পরবর্তী ষষ্ঠ দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক ২০২৩ সালে বাংলাদেশের আয়োজনে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে