রহমত ডেস্ক 10 September, 2022 06:11 PM
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থ সমুন্নত রেখেই কাজ করেন। তাঁর ভারত সফরের সব চুক্তি দেশের জনগণ ও জাতীয় স্বার্থকে সমুন্নত রেখেই করা হয়েছে। গঙ্গা চুক্তি ও কুশিয়ারা চুক্তি তিনিই (শেখ হাসিনা) করেছেন। আর তিস্তা চুক্তিও শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ করতে পারবেন না।
আজ (১০ সেপ্টেম্বর) শনিবার শরীয়তপুরের জাজিরার পালেরচর ইউনিয়নে বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা, ঢেউটিন ও চেক বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাজিরা উপজেলা চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদার, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য জহির সিকদার। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বন্যা ও নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন উপমন্ত্রী। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে জরুরি প্রকল্প চলমান থাকলেও নদীভাঙন রোধে যা-যা করণীয় তা করার নির্দেশ দেন তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ ৮০টি পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল ও ২ হাজার করে টাকা এবং ২৫টি পরিবারকে ২ বান্ডিল করে টিন ও ৬ হাজার করে টাকা তুলে দেন উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।
বিএনপির উদ্দেশ্যে উপমন্ত্রী শামীম বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে যা বলেছেন, তা বিএনপি ও বেগম খালেদা জিয়ার বেলায় প্রযোজ্য। আপনাদের মনে আছে, খালেদা জিয়া ভারত সফর থেকে আসার পর তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে কি কথা হয়েছে। তখন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘ওহ আমি তো ওটা ভুলেই গিয়েছিলাম’। যাদের নেত্রী ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যার কথা বলতে ভুলে যান, তারাই সবসময় ভারতকে সব দিয়েছে, কিছু আদায় করতে পারেনি।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে হওয়া ৭টি সমঝোতা চুক্তির মধ্যে অন্যতম কুশিয়ারা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি। চুক্তি অনুযায়ী কুশিয়ারা নদী থেকে রহিমপুর খাল দিয়ে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারের ফলে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ উপজেলায় শুকনো মৌসুমে চাষাবাদে আসবে ব্যাপক পরিবর্তন। একইসঙ্গে উপকৃত হবেন কানাইঘাট ও বিয়ানীবাজার উপজেলার লক্ষাধিক কৃষক। এছাড়াও এ খালের ভাটিতে থাকা হাওরাঞ্চলেও বোরো চাষাবাদ সম্ভব হবে।