রহমত ডেস্ক 07 September, 2022 04:54 PM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ভারতে গেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আসেন। এটাই রীতি। এটা নিয়ে কত রকম গুজব। শেখ হাসিনা দেয় না, আনে। বাপের বেটি শেখ হাসিনা দিতে জানে না, দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে যেটা করতে হয়, সেটাই তিনি করেন। শেখ হাসিনা সরকারের থাকলে কোনো অভাব হবে না। তিনি ভাল থাকলে, দেশ ভাল থাকবে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব। কামরুল ভাই বলছে, ভাল হয়ে যান। আমি বলব নির্বাচনে আইসা যান। তত্ত্বাবধায়ক এগুলি ভুলে যান। এগুলো এদেশে আর হবে না। খেলা হবে নির্বাচনে, দেখি কার মাজায় কত জোর?
আজ (৭ সেপ্টেম্বর) বুধবারদুপুর পৌনে ১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত ‘বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচার বক্তব্য ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’ এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি শেখ ইকবাল খোকনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
বিএনপির উদ্দেশ্যে মায়া বলেন, আর মিথ্যা কথা বলবে না। মিথ্যার দিন শ্যাষ। পুলিশের ওপর হামলা করবেন, ঢিল মারবেন, পুলিশ কি আঙুল চুষব?’ সামনে নির্বাচন, নির্বাচন নিয়ে আর কোনো খেলা খেলবেন না। নির্বাচনে আইসা যান।‘যেমন কুকুর তেমন মুগুর’। এরা ভালো কথার মানুষ না। এরা ভালো কথা শোনেও না, ভালো কথা বলতেও পারে না। বিএনপি হইলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মিথ্যাবাদী দল। আমরা নাকি কথা বলতে দেই না, দেখেন কেমনে গলা ফাইরা কথা কয়। প্রতিদিন কয়। আমগো কাটাতারের মধ্যে রাখত। আমরা কাটাতার ভেঙেই কিন্তু টেনে হিচড়ে খালেদা জিয়াকে নামাইছি। পাগলের বাড়াবাড়ি বেশি হয়ে গেছে। বিএনপিকে পাবনা না পাঠানো পর্যন্ত মানুষ নিরাপদ নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করব পাবনায় কয়েকটা কারাগার বানান। পাগল বেশি হইয়া গেছে। তাদের সেখানে আটকাতে হবে। গুম-খুন, আগুন, সন্ত্রাস সব তাদের ডিকশিনারিতে। বিএনপি জানে, নির্বাচনে গেলে তাদের কি অবস্থা হবে। তাই তারা নির্বাচনে যেতে চায় না। এটা কি হয় ভাই? এটা জোরের জায়গা না। সন্ত্রাসের জায়গা না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির জন্মই হত্যা-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ক্যান্টনমেন্টে বসে খুনি জিয়া বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছি আইএস’র প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী। আমাদের নেত্রী ভারতে গিয়েছেন। বিএনপি বলছে, আমরা কিছু আদায় করতে পারেনি। ভারতের থেকে যা কিছু আদায় হয়েছে, তা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই। আন্তর্জাতিক মহলসহ সকলে শেখ হাসিনার ভারত সফরকে ইতিবাচকভাবে দেখছে। শুধু বিএনপিই তা পারছে না। ভারতের সঙ্গে আমাদের দেওয়া নেওয়ার কোনো বিষয় নেই। আওয়ামী লীগ দেশের স্বার্থ বিসর্জন দেয়নি। সম্মানের সঙ্গে দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য নেত্রী কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপি আবারও আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করছে, পুলিশের ওপর হামলা করছে।