রহমত ডেস্ক 21 August, 2022 05:08 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণের ভোটের অধিকার, মানবাধিকার তারা স্বীকার করতে চান না। তাই তারা বিদেশিদের কাছে দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে নিজেদের টিকে থাকার জন্য ভিক্ষার হাত প্রসারিত করেছে। দেশের স্বাধীনতার তথাকথিত চ্যাম্পিয়নের দাবিদার আওয়ামী লীগের আজ কি করুণ ভয়াবহ বিপর্যস্ত অবস্থা। জনগণকে তারা প্রতিপক্ষ বানিয়েছে। জনগণের সঙ্গে তাদের শত্রুতা। আজ (২১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানী নয়াপল্টন বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনিএসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
রিজভী বলেন,সরকারের সমালোচনাকারী বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা, নাগরিক সমাজের সত্য উচ্চারণে নির্ভীক ব্যক্তিদের তুলে নিয়ে গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যা ক্ষমতায় টিকে থাকার আবশ্যকীয় কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। অনেককে ৯/১০ বছর ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিএনপির সাবেক এমপি ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী, সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম হীরু ও ঢাকার কমিশনার চৌধুরী আলমসহ ৬০০ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। সরকারের গুম বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত হুইসেলব্লোয়ারদের দেওয়া তথ্য এবং ওই বন্দীশালার দুই বেঁচে যাওয়া বন্দীর জবানবন্দীর ভিত্তিতে করা প্রতিবেদনে টর্চার ও ডিটেনশন সেল ‘আয়নাঘর’ নামের অন্ধকার ঘরের লোমহর্ষক বিবরণ গা শিউরে ওঠে। গুমের নির্মম শিকার এই হতভাগ্যরা আপনার, আমার মতোই এই সমাজের মানুষ। একদিন হুট করে মানুষগুলো হারিয়ে যায়, আর ‘আয়নাঘরের’ দেওয়ালে দেওয়ালে লিখে রাখে বাঁচার আর্তনাদ। এই ‘আয়নাঘর’ পৃথিবীর কুখ্যাত কারাগারের মতো ভয়াবহ। এই সরকারের অবসানের পরে এগুলো সব উন্মোচিত হবে, বিচারও হবে।
তিনি আরো বলেন, এই আয়নাঘর পৃথিবীর কুখ্যাত কারাগারের মতো ভয়াবহ। এই সরকারের অবসানের পরে এগুলো সব উন্মোচিত হবে, বিচারও হবে। এবং এই যুগটি ইতিহাসে গুমের যুগ হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। নিপীড়ক শেখ হাসিনা আয়নাঘর তৈরী করে ক্ষমতার ময়ুর সিংহাসনে বসে আছেন। নিপীড়ক শেখ হাসিনা প্রায় তার পিতা-মাতা ভাইদের হত্যাকান্ডের কথা বলতে গিয়ে অশ্রু বিসর্জন দেন। তখন কি তার একবারও মনে হয় না যে, তার ডেথ স্কোয়াড প্রতিনিয়ত গুম-খুন করছে যাদের, তাদের পরিবারের কি অবস্থা! তারাও তো কেউ পিতা হারাচ্ছেন, কেউ স্বামী, ভাই বা স্বজন হারাচ্ছেন। গুম হওয়া পিতাকে ফিরে পেতে আর্তনাদ করছে সন্তানরা। আর না হয় তারা তাদের বাবার লাশটা ছুঁয়ে দেখতে চায়।