| |
               

মূল পাতা রাজনীতি আওয়ামী লীগ ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টার মাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান’


‘বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টার মাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান’


রহমত ডেস্ক     18 August, 2022     07:44 PM    


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিদ্রুপাত্মক সমালোচনার কঠোর জবাব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ১৯৭৫ এর প্রেক্ষাপট কিছু লোক তৈরি করেছিল। তারা এখনো ষড়যন্ত্র করে চলেছে। সে সময় আস্থিতিশীলতা সৃষ্টি, সরকারের বিরুদ্ধে মানুষকে ক্ষ্যাপিয়ে তোলাসহ ভয়াবহ নৈরাজ্যের একটি অবস্থা দেশের ভিতরে সৃষ্টি করেছিল কিছু মানুষ। দীর্ঘ ধারাবাহিক পরিকল্পনায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ‘গো অ্যাহেড’ বলে এগিয়ে যেতে বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টার মাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান। তাই বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তদন্তে জিয়াউর রহমানের নাম আসা উচিত ছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা যাবে না, এ আইন সংসদে পাস করেছেন জিয়াউর রহমান। তাই আইনগতভাবে জিয়াউর রহমানই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করতে দেননি।

আজ (১৮ আগস্ট) বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মো. সাঈদুর রহমান সেলিম প্রমুখ।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন,  সাম্প্রতিক সময়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য একটা ভয়াবহ প্রচেষ্টা দেশ ও দেশের বাইরে চলছে। ১৯৭৫ এর প্রেক্ষাপট কিছু লোক রচনা করেছিলেন। সেসময় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি, সরকারের বিরুদ্ধে মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলা, অহেতুক বদনাম সৃষ্টি করাসহ ভয়াবহ নৈরাজ্যকর একটি অবস্থা কিছু মানুষ দেশের ভেতরে সৃষ্টি করেছিলেন। সে মানুষরা নিঃশেষ হয়ে যায়নি। সামরিক শাসকদের গৃহপালিত বিরোধী দলে নেতৃত্ব দেওয়া এসব ব্যক্তিরা এখন বঙ্গবন্ধু কন্যাকে গণতন্ত্রের ছবক দিচ্ছেন। তারা রাজনীতিতে পরিত্যক্ত ও উপেক্ষিত ব্যক্তিদের নিয়ে জোট গঠন করে নানাভাবে শিষ্টাচারহীন ভাষা ব্যবহার করছেন, যেটা রাজনীতির ভাষা না।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্ব যারা বিশ্বাস করেন, তাদের ঐক্যের ভিত্তি দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর করা দরকার। মনে রাখতে হবে একজন শেখ হাসিনা থাকার কারণে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ আবার ফিরে এসেছে। একজন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব না থাকলে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হতো না। একজন শেখ হাসিনা না থাকলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দর্প চূর্ণ করে তাদের বিচারের রায় কার্যকর করা সম্ভব হতো না। বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। সেসময় বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ব্যক্তিদের বিচার করা হয়নি। বঙ্গবন্ধু হত্যার সুবিধাভোগীদেরও বিচার করা হয়নি। এজন্য বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে খণ্ডিত বিচার, অসম্পূর্ণ বিচার। নির্দিষ্ট খুনিদের বিচার হয়েছে। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত অনেকেরই বিচার হয়নি। এখনও সে বিষয়টি সামনে নিয়ে আসা সম্ভব।