তেলের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামীকাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ

জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জ্বালানী তেলের দামবৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। সেই সাথে জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ এবং বর্ধিত মূল্যের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আগামীকাল রোববার (৭ আগস্ট) বিকেল ৩টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব চত্ত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

আজ (৬ আগস্ট) শনিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে চরমোনাই পীর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে দেশ মহাসঙ্কটে পড়বে। উন্নয়নের চাকা স্থবির হয়ে পড়বে। সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকা দুর্বিষহ করে তুলবে।

চরমোনাই পীর বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানী তেলের দাম যেদিন কমলো, সেদিন বাংলাদেশে বাড়লো অস্বাভাবিক ভাবে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ালেও বর্তমানে তেলের বাজার নিম্নমুখী। এই সময়ে বাজার পর্যবেক্ষণ না করে, কেবল আইএমএফের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়নে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও গণবিরোধী। অনতিবিলম্বে বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করে, আগের মূল্য বহাল রাখার দাবি জানান তিনি। তিনি বলেন, এ মূল্যবৃদ্ধির কারণে শিল্প কল-কারখান বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে নতুন করে সঙ্কট সৃষ্টি হবে। শ্রমিক অসন্তোষ বাড়বে। তিনি বলেন, একদিকে সারাদেশে বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ের ফলে জনজীবন দুর্বষহ হয়ে উঠছে। এখন আবার জ্বালানির দাম বাড়ায় নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির হয়ে উঠবে। এর প্রভাব পড়বে সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষের উপর। তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় দেশে পরিবহন ভাড়া বাড়বে, জিনিসপত্রের দাম বাড়বে, বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি।

তিনি বলেন, এ অমানিবক সিদ্ধান্ত সরকারকে বাতিল করতেই হবে। অন্যথায় সারাদেশে গণরোষ সৃষ্টি হয়ে গণআন্দোলনে রূপ নিতে বাধ্য। তাই সাধারণ মানুষের কথা ভেবে জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করুন।